স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী/ ফাইল ছবি

দেশের উন্নয়নসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সব তথ্য ‘আজকের পত্রিকা’র মাধ্যমে ফুটে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। রোববার (২৭ জুন) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পত্রিকাটি উদ্বোধনের সময় এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন স্পিকার।

তিনি বলেন, আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আজকের পত্রিকা সব পাঠকের কাছে পৌঁছে গেছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে অনেক প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া বিভিন্নভাবে সংবাদ প্রচার করছে। এরমধ্য আজকের পত্রিকার যাত্রা শুরু হয়েছে সেটি আমার কাছে অত্যন্ত সাহসী পদক্ষেপ বলে মনে হয়েছে। কারণ, অনেক প্রকাশিত প্রিন্ট মিডিয়া এবং প্রকাশিত অন্যান্য পত্রিকার সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে তাদের চলতে হবে। 

তিনি বলেন, আমার একটি বিষয় জেনে খুবই ভালো লেগেছে যে, আপনারা বাংলাদেশের বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে জনগণের কাছে জানতে চেয়েছেন, পাঠকরা কী ধরনের পত্রিকা প্রত্যাশা করে। আমি মনে করি একটি নতুন পত্রিকা শুরুর সাথে সাথেই এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কী কারণে আমরা অন্যান্য পত্রিকার পাশাপাশি আজকের পত্রিকা পড়ব, সে বিষয়ে আমাদের মনোযোগী হতে হব। বিশেষ করে আজকের পত্রিকার সাথে যারা যুক্ত তাদের এই বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। বিশ্বের আনাচকানাচ থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে খবর প্রকাশ করে আমাদের গণমাধ্যমগুলো। তথ্য জানিয়ে সাধারণ জনগণকে সহযোগিতা করে গণমাধ্যম। আমি আশা করি, আজকের পত্রিকা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে জনগণকে সহায়তা করবে।

তিনি আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জনের পঞ্চাশ বছর উদযাপন করছি আমরা। একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে আজকের পত্রিকা অবদান রাখবে ও কাজ করে যাবে। আজকের বাংলাদেশ যে উন্নয়নের রোল মডেল- সেই চিত্রটিও আজকের পত্রিকার মাধ্যমে ফুটে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

আজকের পত্রিকার বিষয়ে ভিডিও বার্তায় তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আজকের পত্রিকা নামে নতুন আরেকটি দৈনিক প্রকাশিত হতে যাচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি আশা করব আজকের পত্রিকা সমাজের দর্পণ হিসেবে কাজ করবে এবং একইভাবে সমাজকে সঠিক ক্ষেত্রে প্রবাহিত করতে ভূমিকা রাখবে। গণমাধ্যমের ভূমিকা দেশ গঠন, জাতি গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি পত্রিকায় মানুষের মনন তৈরি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়া, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়া। সেই স্বপ্নের ঠিকানায় আমরা অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছি জাতির পিতার কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাত ধরে। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নতি হয়েছে। খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশে উন্নীত হয়েছে। সমস্ত সূচকে আমরা পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছি। এমনকি ভারতকেও আমরা অনেক সূচকে অতিক্রম করেছি।  

তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তর করা। যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে সংবাদ পরিবেশন করে, যদি বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে পারে তাহলে দেশের উন্নয়নের সারথি হবে আজকের পত্রিকা। 

আজকের পত্রিকার সম্পাদক ড. গোলাম রহমান

পত্রিকাটির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, করোনাসহ সমসাময়িক বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্যেও আজ বাজারে এসেছে আজকের পত্রিকা। সব ধরনের পাঠকের আগ্রহ এবং চাহিদার কথা বিবেচনায় নিয়ে নিরপেক্ষ ও বৈচিত্র্যময় সংবাদের সমাবেশ থাকবে আজকের পত্রিকায়। প্রতিদিন একটি রুচিশীল ছাপা পত্রিকার পাশাপাশি পাঠকরা সার্বক্ষণিক এর অনলাইন ভার্সনে তরতাজা সংবাদের স্বাদ পাবেন। এর বাইরেও পাঠকরা ই-পত্রিকাও পড়তে পারবেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আজকের পত্রিকার সম্পাদক ড. গোলাম রহমান বলেন, আমাদের দেশ উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাবে, সেখানে আজকের পত্রিকা নিপুণ কারিগরের মতো একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করে যাবে। আমরা বিশ্বাস করি আজকের পত্রিকা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে যাবে। এ পত্রিকা ১২টি ভিন্ন সংস্করণের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রকাশিত হচ্ছে। 

এসআর/এএসএস/এইচকে