সাংবাদিক মো. ফখরুল ইসলাম ভূঁঞা। ছবিটি ফেসবুক থেকে নেওয়া

‘আজকের পত্রিকা’র সাংবাদিক মো. ফখরুল ইসলাম ভূঁঞা আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। 

আজ শনিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে অকস্মাৎ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়। ২৪ বছরের এই তরুণ আজকের পত্রিকার অনলাইন বিভাগে কাজ করতেন। 

গণমাধ্যমে তিনি ‘ফাহির ফখরুল’ নামে পরিচিত ছিলেন। তার বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাখরনগর গ্রামে। বাবা মো. নজরুল ইসলাম ভূঁঞা ও মা মোসাম্মৎ জুলেখা বেগমের দুই ছেলের মধ্যে তিনি ছিলেন কনিষ্ঠ সন্তান। 

আজ শনিবার সকাল ৮টায় অফিসে এসেছিলেন ফাহির। সারা দিন স্বাভাবিক নিয়মেই দায়িত্ব পালন করেন। এরপর বেলা ৩টার পর তিনি অফিস থেকে বাসায় চলে যান। মোহাম্মদপুর টাউন হলের পাশে ভাড়া করা একটি বাসায় কয়েকজন বন্ধুসহ থাকতেন ফাহির। বাসায় ফেরার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। 

ফাহিরের বন্ধু ফাহমিদা তাপসী বলেন, বাসায় ফিরে শরীর খারাপের কথা বন্ধু ফয়সাল আহমেদকে জানান ফাহির ফখরুল। এরপর শরীর আরও খারাপ হওয়া শুরু করলে একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। অজ্ঞান অবস্থায় প্রথমে তাকে ধানমন্ডির বাংলাদেশ মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, ফাহির মারা গেছেন। এরপর তাকে পাশের ইবনে সিনা হাসপাতালে নিয়ে যান বন্ধুরা। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ফাহির মারা গেছেন বলে হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে। 

ছবি তোলার শখ ছিল ফাহির ফখরুলের। অবসরে সিনেমা দেখতে পছন্দ করতেন তিনি। এসএসসি, এইচএসির পর ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ (ইউডা) থেকে যোগাযোগ ও গণমাধ্যম বিভাগে ২০১৯ সালে স্নাতক সম্পন্ন করেন ফাহির। 

২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে সাংবাদিকতায় সংশ্লিষ্ট হন ফাহির। চলতি বছর তিনি আজকের পত্রিকায় যোগ দেন।

আজ রাতে তার মরদেহ কুমিল্লায় গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আগামীকাল রোববার বাদ যোহর জানাজা শেষে তার দাফন হবে। সহকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় আজকের পত্রিকা পরিবার গভীরভাবে শোকাহত। ফখরুলের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন সম্পাদক অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান।

পিএসডি/এইচকে