প্রথম আলোর সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি)। 

গত বছর এ দিনে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মিজানুর রহমান খান স্মৃতি সংসদ’ ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। মিজানুর রহমান খান স্মৃতি সংসদের আহ্বায়ক দৈনিক সমকালের সিনিয়র সাংবাদিক মসিউর রহমান খান জানান, মিজানুর রহমান খানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মৃতি সংসদ ও পরিবারের পক্ষ থেকে ১১ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে মরহুমের কবর জিয়ারত ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। 

এছাড়াও, দুপুরে কবরস্থান সংলগ্ন মসজিদে এতিমদের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের মধ্যাহ্নভোজ রয়েছে। একই দিনে ঝালকাঠি জেলার নলছিটি পৌরসভার স্টেশন রোডে মরহুমের নিজ বাড়িতে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। ১৪ জানুয়ারি শুক্রবার মরহুমের পৈতৃক বাড়ি নলছিটির সুবিদপুর ইউনিয়নের নলবুনিয়া গ্রামে মিলাদের আয়োজন করা হয়েছে।

মিজানুর রহমান খান ১৯৬৬ সালের ৩১ অক্টোবর ঝালকাঠির নলছিটিতে জন্মগ্রহণ করেন। সাংবাদিকতায় তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে সর্বশেষ প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক পদে নিযুক্ত ছিলেন। এর আগে তিনি সমকাল, যুগান্তর, মানবজমিন, মুক্তকণ্ঠ, বাংলাবাজার, নিউনেশন, সাপ্তাহিক মানচিত্র এবং বরিশাল থেকে প্রকাশিত দৈনিক দক্ষিণাঞ্চল ও বিপ্লবী বাংলাদেশসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাংবাদিকতা করেছেন।

বরিশালের বিএম কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞানে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারী মিজানুর রহমান খান তিন দশক সাংবাদিকতা করেন। সংবিধান ও আইন নিয়ে লেখালেখির কারণে তিনি আইন অঙ্গনে ব্যাপক পরিচিত ছিলেন। ১৯৯৫ সালের মার্চ মাসে তার প্রথম বই প্রকাশিত হয়। তিনি সংবিধান, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, আইনের বিধি নিয়ে সাংবাদিকতায় সক্রিয় ছিলেন। 

তার প্রকাশিত  উল্লেখযোগ্য বইগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘সংবিধান ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিতর্ক’ (১৯৯৫), ‘বাংলাদেশের রাজনীতির সংকট ও স্বরূপ বিশ্লেষণ’ (২০০৩), ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার: অশুভ চিহ্ন’ (২০০৯), ‘১৯৭১ আমেরিকান গোপন পত্র’ (২০০৬), মার্কিন দলিলে মুজিব হত্যাকাণ্ড (২০১৩) ইত্যাদি। এছাড়াও তিনি প্রথম সংবিধানের জেনেসিস ফিলোসফির ওপর একটি বিস্তৃত গবেষণা এবং মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন বিষয় নিয়েও গবেষণা করেছেন।

এএইচআর/আরএইচ