সাংবাদিকতায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি। সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রায়ই ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর রোষানলে পড়তে হয়। হয়রানির শিকার হতে হয় অনেক ক্ষেত্রে। শারীরিক ঝুঁকির সঙ্গে এ পেশার মানুষদের মানসিক একটা পীড়নের ঝুঁকিও থেকে যায়।

এসব ঝুঁকি এড়িয়ে সাংবাদিকরা কিভাবে নিষ্ঠার সঙ্গে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে যেতে পারেন সেসব বিষয় উঠে এল ঢাকা পোস্ট কার্যালয়ে আয়োজিত একটি কর্মশালায়। ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসোর্স ডেভলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভের (এমআরডিআই) উদ্যোগে আজ (শুক্রবার) সকালে দু’ঘণ্টার এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকা পোস্ট কনফারেন্স রুমে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগত সাংবাদিক ও নিরাপত্তা উপদেষ্টা ক্রিস পোস্ট। তাকে ঢাকা পোস্টের পক্ষ থেকে স্বাগত জানিয়ে ক্রেস্ট তুলে দেন ঢাকা পোস্টের প্রধান প্রতিবেদক পার্থ সারথি দাস।

কর্মশালায় নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা, ঝুঁকি পর্যালোচনা, সংযোগ পরিকল্পনা, পরিস্থিতি বুঝে সচেতনতার কৌশল, ডিজিটাল নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনা করা হয়। ঢাকা পোস্টের সাংবাদিকরা তাদের কাজের অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেন। ক্রিস পোস্ট যুক্তরাষ্ট্রে সাংবাদিকদের নিরাপদ কাজের পরিবেশ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

ক্রিস পোস্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে সংবিধানে আছে, আইনে আছে, পুলিশ কোনোভাবে সাংবাদিকদের কাজে বাধা দিতে পারবে না। আমরা ভাগ্যবান যে সংবিধানে আমাদের কাজের সুরক্ষার বিষয় নিশ্চিত করে আইন আছে। আপনাদের এখানে (বাংলাদেশে) কাজ করার জন্যে নতি শিকার করা থেকে বিরত থাকতে হবে, তাহলে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সহজ হবে।

এমআরডিআই-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার সানাউল হক বলেন, আমরা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা নিয়ে কাজ করছি। ঢাকা পোস্টের সঙ্গে আমাদের পার্টনারশিপ আছে। এমআরডিআই-এর পরামর্শক তানিম আহমেদও উপস্থিত ছিলেন কর্মশালায়।

ঢাকা পোস্টের সাংবাদিকদের মধ্যে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন- প্রধান প্রতিবেদক পার্থ সারথি দাস, জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জসীম উদ্দীন, আবু সালেহ সায়াদাত, আরাফাত জোবায়ের, নিজস্ব প্রতিবেদক মণি আচার্য্য, হাসনাত নাঈম, ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রতিবেদক সৈয়দ আমানত আলী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক মাহমুদ তানজীদ।

পিএসডি/এমটি/এনএফ