কর বাড়িয়ে সিগারেটের মূল্যস্তর দুটি করার দাবি
অ্যাড ভ্যালোরেমের পরিবর্তে সুনির্দিষ্ট কর পদ্ধতি প্রবর্তন এবং সব তামাকপণ্যে মূল্য বৃদ্ধি, সিগারেটে বিদ্যমান মূল্যস্তর ৪টি থেকে ২টিতে কমিয়ে আনাসহ ব্যাপকভাবে নিম্নস্তরের সিগারেটের কর ও মূল্যবৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন সংসদ সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ‘বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং’ এর এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে তামাকপণ্যে কর বৃদ্ধির বিষয়ক আলোচনায় এ কথা বলেন তারা।
বিজ্ঞাপন
সভায় ফোরামের সদস্য অপরাজিতা হক বলেন, তামাকপণ্যে বর্তমান ট্যাক্স স্ট্র্যাকচার খুবই জটিল। এড ভ্যালোরেম কর পদ্ধতি ও সিগারেটের ও ৪টি মূল্যস্তর থাকায় তেমন লাভ হচ্ছে না। আমাদেরকে অবশ্যই সুনির্দিষ্ট কর পদ্ধতিতে আসতে হবে। মূল্যস্তর ২টিতে নামিয়ে আনতে হবে। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, কর বৃদ্ধির করলে শুধু উপরের স্তরের সিগারেটের দাম বেশি হচ্ছে। সেক্ষেত্রে তামাক ব্যবহারকারীরা নিচের স্তরের সিগারেট খাচ্ছে। তাই নিচের স্তরের দাম বাড়াতে হবে।
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ফোরামের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক বলেন, আমরা যত দ্রুত তামাকের কর বৃদ্ধির বিষয়ে কাজ করতে পারব, আমাদের সফল হওয়ার সম্ভাবনা তত বাড়বে। কারণ তামাক কোম্পানিগুলো খুবই শক্তিশালী। এই বাজেটে যুক্তিযুক্ত কর বৃদ্ধি করতে হলে আমাদেরকেও এগিয়ে থাকতে হবে। পাশাপাশি, সরকারি কোনো সংস্থা তামাকের কর বৃদ্ধির বিপক্ষে কিছু করলে আমাদেরকে অবশ্যই তা প্রতিহত করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
ফোরামের কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারি বলেন, তামাকপণ্যে কর বৃদ্ধির বিকল্প নেই। এই মার্চের মধ্যেই কর কাঠামো কেমন হওয়া দরকার সে ব্যাপারে সবার মধ্যে একটা ধারণা তৈরি করে দিতে হবে। পাশাপাশি, তামাক কোম্পানি যেন এবার কর বৃদ্ধিতে বাঁধা সৃষ্টি না করে সেটিও লক্ষ্য রাখতে হবে।
তামাক নিয়ন্ত্রণে ফোরামের নানান সাফল্যের চিত্র তুলে ধরেন ফোরামের অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত। এর মধ্যে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করার দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর ১৫৩ জন এমপির চিঠি, তামাক আইন সংশোধনের দাবিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিকট ১৫২ জন সংসদ সদস্যের চিঠি এবং সর্বশেষ জাতীয় বাজেটে তামাকের উপর কর বৃদ্ধির সুপারিশ জানিয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে চিঠি দেওয়া উল্লেখযোগ্য।
সভায় আরও যুক্ত ছিলেন সাংসদ অ্যাডভোকেট সৈয়দা রুবিনা আক্তার, শবনম জাহান, হাবিবা রহমান খান এবং হোসনে আরা বেগম, উন্নয়ন সংস্থা স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ এবং পরিচালক রফিকুল ইসলাম।
এমএইচএন/আইএসএইচ