সমাজের মানুষের একে অন্যের প্রতি সহনশীলতা ও সম্মানবোধ কমে যাচ্ছে। এজন্য মানুষের সব ধর্ম সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকার পাশাপাশি অন্য ধর্মকে সম্মান করার চর্চা বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন আর্টিকেল নাইনটিন দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল। 

শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় আর্টিকেল নাইনটিন।

এর আগে, বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরায় কমিউনিটি রেডিও নলতায় ‘মিথ্যা, গুজব, অপপ্রচার বন্ধে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান সরাসরি প্রচারিত হয়। 

আলোচনায় অংশ নেন দৈনিক প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি রোজিনা ইসলাম, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কনিকা সরকার, সংস্কৃতি কর্মী ইলা দেবী মল্লিক, স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা পদ্মলোকে কেন্দ্রের সভানেত্রী জ্যোৎস্না দত্ত, আর্টিকেল নাইনটিনের প্রোগ্রাম এসোসিয়েট সাবরীনা মমতাজ। 

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রেডিও নলতার সহকারী স্টেশন ম্যানেজার মামুন হোসেন। সব সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতি, বহুত্ববাদ, অন্তর্ভুক্তি এবং সহনশীলতা নিশ্চিত করতে দেশজুড়ে কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে সংলাপ আয়োজন করছে আর্টিকেল নাইনটিন। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে রেডিও নলতায় অনুষ্ঠানটি করা হয়।
  
ফারুখ ফয়সল বলেন, সমাজে একে অন্যের প্রতি সহনশীলতা ও সম্মানবোধ কমে যাচ্ছে। মানুষের সব ধর্ম সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা ও অন্য ধর্মকে সম্মান করার চর্চা বাড়াতে হবে অন্যথায় সমাজে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বৃদ্ধি পাবে। এজন্য সামাজিক মাধ্যমের সঠিক ব্যবহার জানার পাশাপাশি যার যার ধর্ম বিশ্বাস ও রাজনৈতিক বিশ্বাস প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।

সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোন কিছু লেখা, লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করার আগে ওই বিষয়ের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া জরুরি। মিথ্যা, গুজব ও অপপ্রচার বন্ধে সংবাদ মাধ্যমগুলোকেও ব্রেকিং নিউজ করার প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। সাইবার ক্রাইম মেয়েদের ক্ষেত্রে বেশি হচ্ছে বিশেষ করে নারী সাংবাদিকরা অনেক বেশি সাইবার ক্রাইমের শিকার হচ্ছেন।

ইলা দেবী মল্লিক বলেন, তরুণদের মধ্যে দিন দিন হিংসাত্মক ও সমাজ বিরোধী কাজে জড়িত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। তরুণরা খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কাজে জড়িত থাকলে এই প্রবণতা কমবে।

কনিকা সরকার বলেন, সব ধর্মের মূল কথা হচ্ছে মানবিকতা ও ন্যায়বোধকে ধারণ করা। ধর্মের সঠিক অর্থ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। জ্যোৎস্না দত্ত বলেন, ইন্টারনেটের অপব্যবহার বন্ধে পরিবারকে সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে হবে।

এসআর/আইএসএইচ