অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহারসহ পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন। আগামী ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেট উপলক্ষে মঙ্গলবার (৩ মার্চ) সেগুনবাগিচার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সামনে মানববন্ধন করেন বিড়িশিল্প সংশ্লিষ্টরা।

মানববন্ধন শেষে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুর মুনিম বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন শ্রমিক নেতারা। বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক হারিক হোসনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন।

এ সময় বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, দেশের প্রাচীন শ্রমঘন বিড়ি শিল্পে সমাজের অসহায়, সুবিধা বঞ্চিত, হতদরিদ্র, শারীরিক বিকলাঙ্গ, বিধবাসহ লাখ লাখ শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। অথচ বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির ষড়যন্ত্রে দেশের প্রাচীন শ্রমঘন এ শিল্পটি ধ্বংস করা হচ্ছে। বহুজাতিক কোম্পানিগুলো দেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করছে।

তিনি আরও বলেন, দেশীয় কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির কাছ থেকে সুবিধা পেয়ে বিড়ির উপর মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। বিড়ি মালিকরা এই মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা সহ্য করতে না পেরে কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে শ্রমিকরা বেকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এছাড়া সিগারেটে অগ্রিম আয়কর ৩ শতাংশ আর সেখানে বিড়িতে অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ। আমরা এই বৈষম্যমূলক অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার চাই।

সংগঠনের সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন বলেন, শুল্ক বৃদ্ধি হওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা শুল্ক ফাঁকি দিতে জাল ব্যান্ডরোল ও ব্যান্ডরোলবিহীন নকল বিড়ি তৈরি করে বাজারজাত করছে। ফলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বিড়িশিল্প ও শ্রমিক ধ্বংস করতে বিড়ি শ্রমিকদের প্রকৃত সংখ্যা গোপন করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। 

তিনি বলেন, বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির যোগসাজশে কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা সরেজমিনে পরিদর্শন ব্যতিরেকে অস্তিত্ববিহীন বিড়ি কারখানার লাইসেন্স প্রদান করে যাচ্ছে।এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি লোকমান হাকিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম ও কার্যকরী সদস্য আনোয়ার হোসেন।

আরএম/ওএফ