আজ থেকে ১৬৫ বছর আগে আমেরিকার সুচ কারখানার নারীশ্রমিকেরা ১২ ঘণ্টার কাজের বিরুদ্ধে, নিম্ন মজুরি এবং অমানবিক কাজের পরিবেশের প্রতিবাদে যে আন্দোলন শুরু করে তারই ধারবাহিকতায় নারী শ্রমিকের সংগ্রাম স্বীকৃতি পায় ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে। নারীর এই আন্দোলনের মূল্যায়ন যদি করি তাতে দেখা যায় নারী নিজেকে চিনতে শুরু করেছে এ কথা ঠিক, নারীর সচেতনতা বেড়েছে ঠিকই কিন্তু নারী তার বৈষম্য, বঞ্চনা এখনও ঘুচাতে পারেনি। 

কর্মজীবী নারীর ‘একতায় মর্যাদা’ প্রকল্পের অধীনে আজ মঙ্গলবার সকালে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মিরপুরে আয়োজিত মানববন্ধন ও র‌্যালিতে এসব কথা বলেন বক্তারা। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও টেরে ডেস হোম্স ইতালিয়ার সহযোগিতায় এ আয়োজন করা হয়। 

এতে সভাপতিত্ব করেন কর্মজীবী নারীর সমন্বয়ক হাছিনা আক্তার। 

বক্তারা আরও বলেন, ১৮৫৭ সালে যে সম মজুরি, নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা ও মানবিক পরিবেশের দাবিতে আন্দোলন হয়েছিল, আজও সেই দাবিগুলো বাস্তবায়ন হয়নি। এখনও আমাদের পরিবারে, সমাজে ও রাষ্ট্রে নারী-পুরুষের বৈষম্য বিদ্যমান। শুধুমাত্র বৈষম্য নয়, ঘর থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্র পর্যন্ত নারীরা বিভিন্ন রকম সহিংসতার শিকার হচ্ছে। আইনের প্রয়োগের অভাবে এবং নারীকে ‘মেয়ে মানুষের’ বলয়ে সীমাবদ্ধ রাখায় নারীর সমমর্যাদা ও সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার জায়গাটি আজও বাধা হয়ে আছে। তাই সবার আগে প্রয়োজন মেয়ে মানুষের বলয় থেকে নারীকে মুক্ত করা এবং পিতৃতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির শিকড় উপড়ে ফেলা।

বক্তারা নারীর জন্য নির্যাতনমুক্ত, নিরাপদ পরিবার, কর্মক্ষেত্র গড়ে তোলা এবং সেই সাথে কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বন্ধে আইন প্রণয়ন ও আইএলও কনভেনশন- ১৯০ অনুসমর্থন করার জোর দাবি জানান। 

এনএফ