বরগুনার পথে হাদিসুরের মরদেহ
ইউক্রেনে রকেট হামলায় নিহত প্রকৌশলী হাদিসুর রহমানের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স তার গ্রামের বাড়ি বরগুনার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে গেছে।
সোমবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে অ্যাম্বুলেন্সটি বরগুনার উদ্দেশে রওনা দেয়।
বিজ্ঞাপন
হাদিসুরের মরদেহ নিতে বিমানবন্দরে এসেছিলেন তার ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্স, চাচা মিজানুর রহমান জীবন, খালা শিরিন আক্তার মমতাজ, খালাতো ভাই সোহাগ হাওলাদার। তাদের সঙ্গে বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমনও বিমানবন্দরে এসেছিলেন।
এসময় এমপি শওকত হাচানুর রহমান রিমন বলেন, ওই পরিবারটা একমাত্র হাদিসুরই চালাত। হাদিসুরের শোকের ছায়া পরিবার ছাড়িয়ে পুরো এলাকাতেই পড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে যুদ্ধপরিস্থিতির মধ্যেও দ্রুত লাশ দেশে এসেছে। আমার বিশ্বাস, ওর পরিবারের জন্য যা কিছু করা দরকার প্রধানমন্ত্রী তা করবেন।
বিজ্ঞাপন
এর আগে বেলা ১২টা ৬ মিনিটের দিকে হাদিসুরকে বহনকারী টার্কিশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি (টিকে-৭২২) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
গত ১১ মার্চ হাদিসুরের মরদেহ ইউক্রেন থেকে মলদোভায় পৌঁছায়। সেখান থেকে মরদেহ পরদিন শনিবার সকালে রোমানিয়ায় পৌঁছায়। গত শনিবার রোমানিয়া সময় রাত পৌনে ১০টায় বুখারেস্ট থেকে নাবিক হাদিসুরের মরদেহ টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি কার্গো ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করে। ফ্লাইটটি রোববার বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু তুরস্কের ইস্তাবুলে পৌঁছানোর পর ভারী তুষারপাতের কারণে ফ্লাইটটি বাতিল হয়ে যায়। অবশেষে আজ সোমবার বাংলেদেশে পৌঁছায় হাদিসুরের মরদেহ।
গত ২ মার্চ ইউক্রেনের ওলভিয়া বন্দরে আটকে থাকা এমভি বাংলার সমৃদ্ধি রকেট হামলার শিকার হয়। এতে জাহাজের একটি অংশে আগুন ধরে যায়। হামলায় নিহত হন হাদিসুর রহমান।
পরদিন ৩ মার্চ জাহাজটি থেকে জীবিত ২৮ নাবিকসহ নিহত হাদিসুরের মরদেহ নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপর ওই ২৮ নাবিককে ইউক্রেন থেকে মলদোভা হয়ে রোমানিয়ায় নিয়ে যায় সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাস।
গত ৯ মার্চ রোমানিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে ওই ২৮ নাবিককে দেশে ফেরত আনা হয়।
এনআই/এমএইচএন/এসএম