খাদ্য অধিদপ্তরের কার্যক্রম অনলাইন মনিটরিংয়ের আওতায় আসবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে ‘অনলাইন ফুড স্টক অ্যান্ড মার্কেট মনিটরিং সিস্টেম’ শীর্ষক কর্মশালায় মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় সততায় পিছিয়ে নেই, প্রযুক্তি ব্যবহারের দক্ষতায়ও পিছিয়ে থাকবে না। অনলাইন ফুড স্টক অ্যান্ড মার্কেট মনিটরিং সিস্টেম চালুর ফলে খাদ্য শস্য সংগ্রহ, চলাচল, বিতরণ ও সংরক্ষণে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন নিশ্চিত হবে। সহসাই অনলাইন মনিটরিংয়ের আওতায় আসবে খাদ্য অধিদপ্তরের কার্যক্রম।

মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের কার্যকারিতা করোনাকালে প্রতীয়মান হয়েছে। ডিজিটাল পদ্ধতি থাকায় জনসাধারণের কাছে সহজেই সেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশে তিনি বলেন, চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আপনাদের বলেছিলাম কাজের গুণগত মান ও সময়ক্ষেপণ যাতে না হয়, সেদিকে সুদৃষ্টি রাখবেন। আজকেও একই কথা বলতে চাই, আপনারা সঠিক সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করবেন। কাজের গুণগত মানের সাথে আমরা কোনো আপস করব না।

খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ডিজিটাল যুগে নিজেদের প্রযুক্তির সাথে মানিয়ে নিয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। সেই সাথে সেবাদানের মানসিক প্রস্তুতিও থাকতে হবে।

খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানম। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বেক্সিমকো কম্পিউটার্স লিমিটেডের সিনিয়র অ্যাডভাইজর সামিরা জুবেরি হিমিকা এবং খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক হিসাব ও অর্থ মো. মাহমুদ হাসান বক্তব্য রাখেন।

খাদ্য সচিব বলেন, সকল পর্যায়েই সুশাসন দরকার। খাদ্য ব্যবস্থাপনায় সুশাসন আরও বেশি দরকার। খাদ্যের অভাব হলে সুশাসন বাধাগ্রস্ত হয়।

দিনব্যাপী কর্মশালায় খাদ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, জেলা ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

এসএইচআর/এমএইচএস