রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) মা‌র্কিন রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রপতির কা‌ছে তার প‌রিচয়পত্র পেশ ক‌রেন।

ঢাকার মা‌র্কিন দূতাবাস জানায়, বাংলা‌দেশ ও যুক্তরা‌ষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনকালে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে রাষ্ট্রদূত হাস সম্মানিত বোধ করছেন। মানবাধিকার, পারস্পরিক বাণিজ্য, সুশাসন, শ্রম অধিকার ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমনের অঙ্গীকার বিষয়ে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে নতুন রাষ্ট্রদূত দুই  দে‌শের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও গভীর করার প্রতীক্ষায় আছেন। 

বিবৃতিতে রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ব‌লেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে আমার দায়িত্ব শুরু করতে পেরে আমি আনন্দিত। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে আমি আমার পরিচয়পত্র পেশ করতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। আমাকে অত্যন্ত আন্তরিকভাবে স্বাগত জানানোর জন্য আমি বাংলাদেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানাই!

রাষ্ট্রদূত ব‌লেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বহুবিস্তৃত ও গতিশীল। অর্থনৈতিক বিষয়াদি, উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা শক্তিশালী অংশীদারিত্ব ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ব্যাপ্তিকে তুলে ধরে।

নতুন দূত বিবৃতিতে উল্লেখ ক‌রেন, সরকারি কাজের বাইরে আমাদের দুই দেশের বন্ধনের মধ্য দিয়েও যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত। একসঙ্গে আমরা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে আরও উন্মুক্ত, আরও নিরাপদ ও আরও সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলার পাশাপাশি উভয় দেশের জনগণের জন্যই বৃহত্তর সমৃদ্ধি অর্জন করেছি। 

গত ১ মার্চ ঢাকায় আসেন নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারের স্থলাভিষিক্ত হলেন হাস।

হাস যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও ব্যবসায় বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত সহকারী সেক্রেটারি অব স্টেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

কূটনীতিক হিসেবে ভারতের মুম্বাইসহ বিদেশের আরও চারটি মিশনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের হয়ে কাজ করেছেন পিটার হাস। ইংরেজির পাশাপাশি ফরাসি ও জার্মান ভাষায় দক্ষ তিনি।

এনআই/এসকেডি