চট্টগ্রামে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা
মূল অভিযুক্ত মানিকগঞ্জে গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের হালিশহরে ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত আলমগীর মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) রাতে মানিকগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, বুধবার (১৬ মার্চ) দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য, গত রোববার চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর থানার আলি শাহ মাজার সংলগ্ন এলাকার একটি বাসা থেকে
৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোরীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ খাটের নিচে রেখে পালিয়ে যায় প্রতিবেশী। হত্যার আগে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে ধারণা পুলিশের। নিহত কিশোরীর মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় পরদিন সোমবার বিকেলে আলমগীর নামে এক ব্যক্তিকে আসামি করে হালিশহর থানায় মামলা করেছে ওই ছাত্রীর বাবা।
পুলিশ আরও জানায়, নিহত কিশোরীর মা বাসার অদূরে একটি পোশাক কারখানার কর্মী। বাবা রিকশাচালক। দুই ভাই, এক বোনের মধ্যে কিশোরী সবার বড়। আরেক ভাই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। প্রতিবেশী এক ব্যক্তি গত রোববার ওই কিশোরীকে তার ঘরে নিয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে।
নগর পুলিশের ডবলমুরিং জোনের সহকারী কমিশনার আরিফ হোসেন জানান, ওই দিন সকাল ৮টার দিকে কিশোরীর মা কারখানায় চলে যান। বাবাও রিকশা নিয়ে বেরিয়ে যান। দুপুরে মা বাসায় ভাত খেতে এসে মেয়েকে না পেয়ে স্কুলের দুই সহপাঠীর কাছে বিষয়টি জানতে চান। তারা জানায়, সে প্রাইভেট পড়ার পর স্কুলে বই রেখে এসেছে, কিন্তু পরে আর স্কুলে যায়নি। এরপর থেকে তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তারা। কিন্তু কোথাও মেয়েটির খোঁজ পাওয়া যায়নি। একপর্যায়ে রাতে দেখতে পান, পাশের বাসায় ফ্যান চলছে, লাইটও জ্বলছে। কিন্তু বাইরে তালা মারা। তখন তাদের সন্দেহ হয়। বাড়ির মালিককে বিষয়টি জানালে তিনি তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন, খাটের নিচে মেয়েটির মরদেহ পড়ে আছে। পরে পুলিশকে খবর দেয় তারা।
সিএমপির সহকারী কমিশনার আরিফ বলেন, পাশের বাসায় আলমগীর নামে এক ব্যক্তি ও তার স্ত্রী মৌসুমি থাকেন। আলমগীর গত তিন মাস ধরে বেকার। সারাক্ষণ বাসায় থাকেন। মৌসুমি ওই কিশোরীর মায়ের সঙ্গে একই কারখানায় কাজ করেন। মরদেহ উদ্ধারের আগে থেকেই আলমগীর ও মৌসুমি পলাতক আছেন।
জেইউ/এসকেডি