মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর উপহার হিসেবে শতভাগ উৎসবভাতা চেয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। এ দাবিতে ৩৬ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা।  

শতভাগ উৎসবভাতা বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ১৩টি সংগঠন। শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষক-কর্মচারীরা কর্মসূচিতে অংশ নেন। 

অবস্থান কর্মসূচী থেকে বলা হয়, গত ১৮ বছর ধরে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা ২৫ শতাংশ উৎসবভাতা পাচ্ছেন, যা অমানবিক। মাধ্যমিক পর্যায়ের এন্ট্রি লেভেলের একজন শিক্ষক ১২ হাজার ৫০০ টাকা স্কেলে উৎসবভাতা পান ৩ হাজার ১২৫ টাকা। 

মাদরাসার একজন ইবতেদায়ি লেভেলের শিক্ষক ৯ হাজার ৩০০ টাকা স্কেলে উৎসবভাতা পান ২ হাজার ৩২৫ টাকা। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির বাজারে কোনো শিক্ষক-কর্মচারীর পক্ষেই এত অল্প টাকায় আনন্দের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করা সম্ভব নয়।

উপস্থিত শিক্ষক-কর্মচারীরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর এ মাহেন্দ্রক্ষণকে স্মরণীয় করে রাখতে শিক্ষক কর্মচারীদের শতভাগ উৎসবভাতা প্রদানের ঘোষণা ও পরিপত্র জারি করে তাদের ঘরে ফেরাতে পারেন।

তারা বলেন, শতভাগ উৎসবভাতার দাবিতে গত ঈদুল ফিতরের নামাজ জাতীয় প্রেস ক্লাবে আদায় করে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে শতভাগ উৎসবভাতা বাস্তবায়ন কমিটি। গত বাজেট সেশনের আগে অর্ধশতাধিক এমপি-মন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়ে বিষয়টি জাতীয় সংসদে উত্থাপনের জন্য অনুরোধ জানানো হয়।  

বিরোধীদলীয় নেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরসহ ছয়জন সংসদ সদস্য শতভাগ উৎসবভাতার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতে জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন। তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেটির কোনো সুরাহা হয়নি। দেখতে দেখতে বছর গড়িয়ে আবারও ঈদুল ফিতর চলে আসছে। তাই দ্রুত শিক্ষক-কর্মচারীদের শতভাগ উৎসবভাতা দেওয়ার দাবি জানানো হচ্ছে।   

অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করা সংগঠনগুলো হচ্ছে, বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরাম, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (ড. ইদ্রিছ জসিম), বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরাম, বাংলাদেশ সহকারী প্রধান শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ এমপিওভুক্ত শিক্ষক অনলাইন পরিষদ, বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ মঞ্চ, বাংলাদেশ সাধাসিক কারিগরি শিক্ষক পরিষদ, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিত (আ. মান্নাফ-প্রিন্স), বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ, বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ ভোকেশনাল শিক্ষক শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ শিক্ষক সমাজ ও বাংলাদেশ ইসলামিক স্টাডিজ ফেডারেশন।

কর্মসূচিতে উপস্থিত রয়েছেন শতভাগ উৎসবভাতা বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন আহম্মদ, মহাসচিব উপাধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী, বাংলাদেশ এমপিওভুক্ত শিক্ষক অনলাইন পরিষদের সহ-সভাপতি শাহ আলম প্রমুখ।

এমএইচএন/আরএইচ