উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন-২০২২। রবিবার (২০ মার্চ) সকাল দশটায় সারাদেশের ২১৩টি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

সরেজমিনে রাজধানীর ঢাকা কলেজ কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে নির্বাচন। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য কলেজের জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে কমিটি। মূল বুথে প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারসহ অন্যান্য নির্বাচনী কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন। ঢাকা কলেজের নির্বাচন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে শহীদ আ. ন. ম. নজীব উদ্দিন খান খুরররম অডিটোরিয়ামে। সেখানে সাতটি আলাদা বুথে গোপনীয়তা বজায় রেখে ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারছেন। 

ঢাকা কলেজ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ও ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক পুরঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, সকাল থেকেই ঢাকা কলেজ কেন্দ্রে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। এই কেন্দ্রে মোট ২২৪ জন ভোটার ও ১২ জন প্রার্থী রয়েছেন। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার প্রশ্নই আসে না। সুন্দর অবাধ নিরপেক্ষ পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে।

অপরদিকে সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, ভোটার সংখ্যা কম হওয়ায় একটিমাত্র বুথেই  চলছে ভোট গ্রহণ। প্রিজাইডিং অফিসার কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড. রঞ্জিত পোদ্দার বলেন, সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৩টি ভোট পড়েছে। এই কেন্দ্রে মোট ৪৬ জন ভোটার রয়েছেন। সবাই যেন সুন্দর পরিবেশে ভোট দিতে পারেন সেজন্য আমরা চেষ্টা করছি।

সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. গোলাম ফারুক বলেন, সকাল থেকেই সিনিয়র শিক্ষকরা ভোট কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। আমি অধ্যক্ষ হিসেবে কোনো ধরনের পক্ষ-বিপক্ষের কথা বলতে পারি না। আমরা চাচ্ছি সবার অংশগ্রহণে একটি সুন্দর নির্বাচন। এটি আমাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা।

নির্বাচনের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রার্থীরাও। আজমতগীর-জাফর ঐক্য প্যানেলেরসহ প্রকাশনা সচিব পদপ্রার্থী মো. ওবায়দুল করিম (রিয়াজ) বলেন, এখন পর্যন্ত নির্বাচনের সার্বিক পরিবেশ সুন্দর রয়েছে। অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষভাবে ভোট গ্রহণ চলছে। আমরা বিচ্ছিন্নভাবে কিছু সমস্যা দেখেছিলাম যেগুলো ইতোমধ্যেই সমাধান হয়েছে। তারপরও সকল প্রকার ভয় ভীতি বাধা উপেক্ষা করে ভোটাররা কেন্দ্রে যাবেন এবং ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে প্রত্যাশা করছি।

উল্লেখ্য, রবিবার (২০ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। ২৩ মার্চ (বুধবার) বেসরকারি ফল প্রকাশ করা হবে। ২৭ মার্চ (রবিবার) চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে। তাছাড়া কোনো পদে একাধিক প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলে সে পদের প্রার্থীকে ২৩ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা যাবে।

আরএইচটি/আইএসএইচ