পরকীয়া প্রেমিককে বিয়ের চাপ দিয়ে খুন হন সুমী, প্রেমিক গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার মাহিবুর কামালের (২৩)
প্রায় এক যুগ আগে মো. ইমাম উদ্দিনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল হাছিনা বেগম সুমীর (২৮)। সন্তান না হওয়ায় তারা একটি কন্যা সন্তান দত্তক নেন। ১০ বছরের ওই সন্তানকে নিয়ে সংসার ভালোই চলছিল। কিন্তু এরমধ্যে সুমী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন তার চেয়ে পাঁচ বছরের ছোট মাহিবুর কামালের (২৩) সঙ্গে।
সম্প্রতি মাহিবুর অন্যত্র বিয়ে করতে চাওয়ায় সুমী তাদের সম্পর্কের কথা ফাঁস করে দেবেন বলে জানান। এর জেরে সুমীর মাথায় নির্মমভাবে ইট দিয়ে একের পর এক আঘাত করে তাকে হত্যা করেন মাহিবুর। পরে হত্যার সব আলামত গায়েব করতে মরদেহে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যান।
বিজ্ঞাপন
গত ১১ মার্চ রাঙামাটিতে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরেরদিন (১২ মার্চ) সুমীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাহিবুরকে নেত্রকোনা জেলার মদন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (২০ মার্চ) চান্দগাঁও র্যাব ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, হাছিনা বেগম সুমীর সঙ্গে আসামি মাহিবুর কামালের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল বলে স্বীকার করেছেন কামাল। মাহিবুরের সঙ্গে অন্য এক মেয়ের বিয়ের কথাবার্তা পাকা হয়েছে শুনে সুমী ১১ মার্চ তাকে ফোন করে কাপ্তাই বিএফআইডিসি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে আসতে বলেন। স্কুলের পাশে একটি পরিত্যক্ত টয়লেটের ভেতর তারা দেখা করেন। রাত ১০টার দিকে সুমী মাহিবুরকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেন। মাহিবুর রাজি হননি। তখন সুমী তাদের সম্পর্কের কথা ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখান। মাহিবুর রেগে যান এবং ইট দিয়ে সুমীর মাথায় একের পর এক আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এরপর মরদেহে আগুন লাগিয়ে দেন এবং হত্যার সব আলামত নষ্ট করে পালিয়ে যান।
এম এ ইউসুফ বলেন, এ ঘটনায় সুমীর মা আমেনা বেগম রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তিনজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়। প্রধান আসামি করা হয় মাহিবুর কামালকে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার রহস্য উদঘাটনে গোয়েন্দা নজরদারি ও ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব। তদন্তের ধারাবাহিকতায় মাহিবুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাহিবুর গ্রেফতার এড়ানোর জন্য ঘটনার পর থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করেছিলেন। সর্বশেষ তিনি নেত্রকোনায় আত্মগোপন করে ছিলেন।
কেএম/এইচকে