চার ঘণ্টা পর রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ের অবরোধ তুলে নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে অবরোধ তুলে নেন তারা। দুপুর ১২টা থেকে তিন দফা দাবি আদায়ে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে নীলক্ষেত আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সহকারী প্রক্টর ড. সৈয়দ আহমেদ ও ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন। শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে আগামী ২৯ মার্চ সাত কলেজের পাঁচজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, সমন্বয়কের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বৈঠকের ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর অবরোধ তুলে নিতে সম্মত হন শিক্ষার্থীরা।

ড. সৈয়দ আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে আমি এসেছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা বলেছি, আগামী ২৯ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে বসে দাবিগুলো সম্পর্কে আলোচনা করব।

অবরোধ তুলে নেয়ার পর সড়কে শুরু হয় যান চলাচল। ধানমন্ডি থানা পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতায় দ্রুতই ডাইভারশন ছেড়ে মূল সড়কে শুরু হয় যান চলাচল।

নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পরে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন। দ্রুত যান চলাচল স্বাভাবিক করতে চেষ্টা করছি। আন্দোলনটি শিক্ষার্থীদের ছিল, তাই আমরা খুব সহনশীল আচরণ করেছি। তবে এই গরমে মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।

অপরদিকে আগামী ২৯ মার্চের মধ্যে তিন দফা দাবি মেনে নিয়ে সমাধান না করা হলে পরবর্তীতে আরও কঠোর আন্দোলন হবে বলে জানান ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী ও আন্দোলন সমন্বয়ক মুন। তিনি বলেন, আমাদের তিন দাবি- করােনা সংক্রমণের কারণে ২০১৭-১৮, ১৮-১৯, ১৯-২০ সেশনের সব বিভাগের অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের প্রমােশন দিয়ে পরবর্তী বর্ষে পরীক্ষার সুযােগ দেওয়া, দর্শন বিভাগের প্রশ্নের মান-বণ্টন পরিবর্তন করা এবং গণহারে ফেল করার কারণ ও প্রতিরােধে প্রয়ােজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। এর স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া না হলে আবারো আন্দোলন করা হবে।

এর আগে, প্রমোশনসহ তিন দাবিতে দ্বিতীয়বারের মতো নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেন ঢাবি অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের দর্শন বিভাগের ২০১৯-২০, ২০১৮-১৯ ও ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা।

আরএইচটি/ওএফ/জেএস