মশার উপদ্রব নিয়ে বিব্রত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। নগরীতে মশার উপদ্রবের কথা স্বীকার করে তিনি বলেছেন, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত মশা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে না। 

বুধবার ( ২৩ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে নিজের দায়িত্ব গ্রহণের একবছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, সম্প্রতি নগরের ৩৯ নং দক্ষিণ হালিশহরে একটি খাল পরিদর্শনে গিয়ে নিজেই লজ্জা পেয়েছি। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছেও মশার উৎপাত নিয়ে বিব্রত হই। ওই খালে এমনভাবে পানি জমেছে, তাতে একটি ঢিল ছুড়তেই লাখ লাখ মশা উড়তে দেখা যায়।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরীতে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ চলছে। যে কারণে খালে পানিপ্রবাহ বন্ধ রয়েছে। তা থেকে মশা জন্ম নিচ্ছে। পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত মশা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে না। তবে মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছি।

মেয়র বলেন, অবৈধ দখলকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। যতই শক্তিশালী হোক সকল অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে। 

সংবাদ সম্মেলনে চসিক মেয়র বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের চিত্র তুলে ধরে জানান, গত এক বছরে আড়াই হাজার কোটি টাকার একটি বড় প্রকল্পের অনুমোদন হয়েছে। বহদ্দারহাটের বারইপাড়া নতুন খাল খননের কাজ শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে স্থবির হয়ে থাকা পোর্ট কানেকটিং (পিসি) রোডের কাজ প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে। নগর ভবন নির্মাণ ও সড়ক উন্নয়ন বাতি প্রকল্পের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

২০১৭-১৮ অর্থ বছরে পঞ্চবার্ষিকী কর পুনর্মূল্যায়নের ওপর থাকা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে উল্লেখ করে মেয়র সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে পঞ্চবার্ষিকী কর পুনর্মূল্যায়ন কার্যকর করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তবে কার্যকর করার সময় গৃহকর রিভিউ বোর্ডের মাধ্যমে যৌক্তিকভাবে চূড়ান্ত করা হবে।

মেয়র বলেন, পথচারীদের নিরাপদে চলাচলের সুবিধার্থে প্রায় ২৫ হাজার বর্গফুট স্ল্যাব ও খালপাড়ে প্রায় ১৫ হাজার বর্গফুট রক্ষাপ্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর, মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ও আফরোজা কালাম প্রমুখ। ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। ওই বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি মেয়রের দায়িত্ব নেন তিনি।

কেএম/এইচকে