রাজধানীর শাহজাহানপুরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপুসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন জাহিদুলের গাড়িচালক মুন্নাও। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

ঢাকা পোস্টকে মুন্না বলেন, আমরা গাড়িতে করে বাসায় ফিরছিলাম। শাহজাহানপুর বাগিচা মসজিদের দিকে যেতে ট্রেনের সিগন্যালে দাঁড়াই। হঠাৎ বাঁ পাশ থেকে গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। প্রথম গুলিটি ভাইয়ের (জাহিদুলের) বাঁ হাতে লাগে। দুর্বৃত্তরা সবাই মাস্ক ও হেলমেট পরা ছিল। কাউকে চিনতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, তবে কী কারণে, কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে সে বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না। আমার ডান হাতে ও পিঠে গুলি লেগেছে।

মুন্না বলেন, দুর্বৃত্তরা যখন গুলি করে তখন আমার হাতে গুলি লাগে। তখন আমি সিট ভেঙে দিয়ে শুয়ে মারা যাওয়ার ভান করি। তারা আমাকে মৃত ভেবে চলে যায়। পরে আমি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে ঢাকা মেডিকেলে আসি।

জাহিদুল ইসলাম টিপুর পরিচিত শাহাদাত ঢালী ঢাকা পোস্টকে জানান, তিনি মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাধ্যমিক শাখার গভর্নিং বডির সদস্য ছিলেন। এছাড়া তিনি বৃহত্তর মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়াও টিপু ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১১, ১২ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ডলির স্বামী।

মতিঝিল বিভাগের সবুজবাগ জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মনতোষ বিশ্বাস ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনাস্থল সিআইডি ক্রাইম সিনসহ আমরা পরিদর্শন করেছি। তদন্তের স্বার্থে যেসব নমুনা সংগ্রহ করা দরকার আমরা তা করেছি।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে জাহিদুল মাইক্রোবাসে করে শাহজাহানপুর আমতলা কাঁচাবাজার হয়ে বাসায় ফিরছিলেন। শাহজাহানপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে হেলমেট পরা দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এতে জাহিদুল ও তার গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় জাহিদুলের গাড়ির পাশ দিয়ে রিকশাযোগে যাচ্ছিলেন শিক্ষার্থী প্রীতিও। দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে তিনিও বিদ্ধ হন। পরে তিনজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহিদুল ও প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত প্রীতি বদরুন্নেসা কলেজের ছাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে। গুলিবিদ্ধ গাড়িচালক মুন্না বর্তমানে ঢামেকে চিকিৎসাধীন।

এসএএ/এমএসি/এসকেডি