চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও এলাকায় ফুটপাত ধরে হাঁটার সময় নালায় পড়ে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে এক শিশু। শনিবার (২৬ মার্চ) বিকেলে নগরের পাঠানিয়া গোদা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার ১ মিনিট ৪২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, ফুটপাত দিয়ে দুই নারীর সঙ্গে একটি শিশু হাঁটছে। একপর্যায়ে সাফা মারওয়া ইলেকট্রনিকস নামের একটি দোকানের সামনের উঁচু ফুটপাত থেকে নিচু ফুটপাতে নামার সময় হঠাৎ গর্তে পড়ে যায় শিশুটি। পরে দুই নারীকে শিশুটিকে টেনে ওপরে তোলেন। এ সময় আশপাশের মানুষকে সেখানে জুড়ো হতে দেখা যায়।

এর কিছুক্ষণ পরই শিশুটিকে নিয়ে দুই নারী চলে যান। তাদের নাম-পরিচয় জানা ও তাদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে চান্দগাঁও ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এসরারুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ড্রেনটি উঁচু হওয়ার কারণে এর সামনের রাস্তাটি নিচু হয়ে আছে। এ কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটছে বলে মনে হয়েছে। ঘটনার কথা শুনে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। যে গর্ত দিয়ে শিশুটি পড়ে গেছে তা পূরণ করা হবে। এ ধরণের ঘটনা যেন না ঘটে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিচু রাস্তার কাজ করার বাজেট পাস হয়েছে। রাস্তাটাও করা হবে।

চট্টগ্রাম নগরের উন্মুক্ত নালা ও খালগুলো রীতিমতো মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। এখানে পড়ে একের পর এক মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটছে। গত বছর জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরীতে ‘অরক্ষিত’ খাল-নালায় পড়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত পাঁচ জনের, এখনও নিখোঁজ রয়েছেন একজন।

গত ২৫ আগস্ট চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুর এলাকায় হাঁটার সময় পা পিছলে নালায় পড়ে যান সবজি ব্যবসায়ী ছালেহ আহমদ। এরপর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন তিনি। এখনও তার কোনো সন্ধান মেলেনি। এরপর গত ২৭ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় নালায় পড়ে মৃত্যু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী শেহেরীন মাহমুদ সাদিয়ার। তারপর গত ৩০ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর কাজির দেউড়ী স্টেডিয়াম সংলগ্ন ফুটপাত ধরে হাঁটার সময় নালায় পড়ে পা ভেঙে যায় কলেজছাত্র ইয়াসিন আরাফাতের।

গেল ৬ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহর এলাকায় খালে খেলনা তুলতে গিয়ে নিহত হয় কামাল হোসেন নামের এক শিশু। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষকে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করতে খালে নিরাপত্তা বেষ্টনী ও নালায় স্ল্যাব বসানোর কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

কেএম/এসএসএইচ