গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ নরসিংদীর সদর এলাকার মুক্তা (৪৫) মারা গেছেন। সোমবার (২৮ মার্চ) সকাল পৌনে ৮টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, নরসিংদী সদর এলাকা থেকে রাতে দগ্ধ শিশুসহ তিন জন আমাদের এখানে এসেছিলেন। আজ সকালে মুক্তা নামে এক নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার শরীরের ৯১ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। দগ্ধ মনিরের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। মুক্তার মেয়ে ঐশ্বর্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

নিহত মুক্তার ভাই আমির ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার বোন আজ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি নরসিংদী সদরে একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। গতকাল (রোববার) বাসায় গ্যাস লাইন থেকে বিস্ফোরণে বোন, ভাগ্নিসহ বাসায় পড়াতে আসা এক হুজুর দগ্ধ হয়েছিলেন। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে সেখান থেকে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা বার্নে নিয়ে আসি। কিন্তু আমার বোনকে বাঁচাতে পারলাম না।

এসএএ/এসএসএইচ