দেশের দুর্যোগপ্রবণ এলাকার ২৩ দশমিক ৫০ শতাংশ মানুষের কোনো অক্ষর জ্ঞান নেই। তবে গত ছয় বছরে দুর্যোগপ্রবণ এলাকার নিরক্ষরতার হার কমেছে প্রায় ১৪ দশমিক ৫০ শতাংশ।

মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘বাংলাদেশ পরিবেশ পরিসংখ্যান-২০২০’ বিষয়ক রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। বিবিএসের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। 

প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেব পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, বিশেষ অতিথি হিসেবে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, দুর্যোগ ও ত্রাণ সচিব মো. কামরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ পরিসংখ্যান শক্তিশালীকরণ (ইসিডিএস) প্রকল্প পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম।

প্রকল্প পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় খানার সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতাকে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। এসব এলাকায় প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাস ৩৪ দশমিক ১৮, ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পাস ২৩ দশমিক ৬৭, এসএসসি/এইচএসসি সমমানের পাস ১৪ দশমিক ৪৮ ও স্নাতক/স্নাতকোত্তর পাস করা মানুষের সংখ্যা ৩ দশমিক ২৬ শতাংশ। আর কোনো ধরনের শিক্ষাই গ্রহণ করেনি এমন মানুষের সংখ্যা ২৩ দশমিক ৫০ শতাংশ।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, ২০১৫ সালের জরিপে দুর্যোগপ্রবণ এলাকার খানার সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ১ম শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পাস ছিল ৩৩ শতাংশ, ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত পাস ছিল ১৯ শতাংশ, এসএসসি/এইচএসসি সমমানের পাস ছিল ৯ শতাংশ, স্নাতক/স্নাতকোত্তর পাস মাত্র ছিল ১ শতাংশ এবং কোনো ধরনের শিক্ষাই গ্রহণ করেনি এদের সংখ্যা ছিল ৩৮ শতাংশ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশের ৬৪ জেলার দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় ৭৫ লাখ ১৫ হাজার ৯৭৭টি খানার ওপর এই জরিপ করা হয়েছে। এসব খানার আওতায় ৩ কোটি ৪১ লাখ ১২ হাজার ৯১০ মানুষের ওপর জরিপ চালানো হয়েছে। অন্যদিকে, ২০১৫ জরিপে ৬৪ জেলার দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় ৪৩ লাখ ৬১ হাজার ২৬১টি খানা ছিল। ওই সময় এই জরিপের আওতায় ২ কোটি ২০ লাখ ৪ হাজার ৩৬৭ জনসংখ্যা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।

এসআর/ওএফ