নেত্রকোনার দুর্গাপুরে হেকমত আলী (৬২) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে সিআইডি। গত ২০ মার্চ রাতে ওই ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়েছিল।

এরপর ঘটনার তদন্তে নেমে মঙ্গলবার রাতে জামালপুরের সরিষাবাড়ী এলাকা থেকে মাসুদ মিয়া (২২) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। তাকে গ্রেপ্তারের পর সিআইডি বলছে, পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ থেকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।  

আজ বুধবার দুপুরে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএস) মুক্তা ধর।

তিনি বলেন, পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য বিভিন্ন মানুষের উপস্থিতিতে মাসুদকে চাপ দেন হেকমত আলী। এতে অপমানিত বোধ করে হেকমত আলীর দোকান লুটের পরিকল্পনা করেন মাসুদ। পরিকল্পনা অনুযায়ী লুটের সময় মাসুদ মিয়াকে চিনে ফেলায় হেকমত আলীকে হত্যা করা হয়।

তিনি জানান, গত ২০ মার্চ দুর্গাপুর এলাকার হাবিব ভ্যারাইটিজ স্টোর নামে মুদি ও জ্বালানি তেলের দোকানের মালিক হেকমত আলীকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা তদন্তের ধারাবাহিকতায় আসামি মাসুদ মিয়াকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেফতার মাসুদকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি বলেন, মাসুদ পেশায় একজন ট্রাকচালক। মাসিক ১৮ হাজার টাকা বেতনে ট্রাক চালাতেন, কিন্তু হঠাৎ চাকরি চলে যাওয়ায় বেকার হয়ে পড়েন মাসুদ। এজন্য তিনি হেকমত আলীর পাওনা পরিশোধ করতে পারছিলেন না।

হাবিব ভ্যারাইটিজ স্টোরের মালিক হেকমত আলী পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য অনেক মানুষের উপস্থিতিতে মাসুদ মিয়াকে চাপ প্রয়োগ করলে তিনি অপমানিতবোধ করেন। এরপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তার দোকানে লুটের পরিকল্পনা করেন মাসুদ।

সে অনুযায়ী ২০ মার্চ মধ্যরাতে মাসুদ মিয়াসহ কয়েকজন হেকমত আলীর দোকানে গিয়ে তাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে মারপিট করতে থাকে। এক পর্যায়ে হেকমত আলী তাদেরকে চিনে তাদের নাম ধরে ডাকে। বিষয়টি সবাইকে বলে দিবে জানালে তার মাথায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে মাসুদ মিয়া।

পরে মাসুদসহ তার সঙ্গীরা দোকানের ক্যাশ থেকে নগদ দশ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে সিআইডির অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান এসএসপি মুক্তা ধর।

এআর/এনএফ