গৃহস্থালি বর্জ্য থেকে জৈবসার, ২ লাখ টাকা জিতল ‘কোকো সার’
গৃহস্থালি বর্জ্য থেকে কম খরচে জৈবসার তৈরির ব্যবসায়িক পরিকল্পনা উদ্ভাবন করে ইয়ুথ লেড ইনোভেশন ল্যাব পুরস্কার জিতে নিয়েছে এর উদ্ভাবক দল।
ঢাকা, কক্সবাজার, মৌলভীবাজার, সিলেট ও সাতক্ষীরা জেলার তরুণদের ব্যবসা পরিকল্পনা নিয়ে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ এর আয়োজন করে। আজ বৃহস্পতিবার প্রতিযোগিতায় তিনটি দলকে বিজীয় ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞাপন
প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে ঢাকার দল কোকো সার। গৃহস্থালি বর্জ্য থেকে কম খরচে জৈবসার তৈরির ব্যবসায়িক পরিকল্পনা উদ্ভাবন করে তারা জিতে নেয় ২ লাখ টাকা।
চূড়ান্ত বাছাই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আজহারুল ইসলাম খান। তিনি তরুণদের উদ্দেশে বলেন, তোমরা যা-ই করতে চাও, আমরা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর তোমাদের পাশে আছি। তোমরা চাকরির পেছনে না ছুটে তোমরা যাতে অন্যকে চাকরি দিতে পারো সেটা আমরা চাই। তোমাদের পরিকল্পনা দেখে আমি অভিভূত, আরও এগিয়ে যাও।
বিজ্ঞাপন
প্রতিযোগিতার শুরু হয় উল্লিখিত পাঁচ জেলায় সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রকল্প এলাকা ও তার আশপাশের এলাকায় ঘোষণা প্রদানের মধ্যে দিয়ে। প্রতি জেলায় ১৬-২৪ বছর বয়সী তরুণরা তাদের দলভিত্তিক পরিকল্পনা সেভ দ্য চিলড্রেনের কাছে পাঠালে তা থেকে কিছু সংখ্যক বাছাই করে তিনদিনের ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়। ওয়ার্কশপে স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা, প্রাইভেট সেক্টর প্রতিনিধি এবং সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ নিয়ে কর্মরত বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা পাঁচ জেলা থেকে মোট সাতটি পরিকল্পনা বাছাই করেন। এই সাত পরিকল্পনা প্রদানকারী পাঁচটি দল হলো- ইউরেকা গ্রুপ (ঢাকা), কোকো সার (ঢাকা), লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং (সিলেট), মৌলভীবাজার বিজওয়ালা (মৌলভীবাজার), জাগরণী সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ হাব (মৌলভীবাজার), সাতক্ষীরা স্বপ্ন কন্যা (সাতক্ষীরা), ষোল আনা খাঁটি দুধ (সাতক্ষীরা), সাগর পাড়ের হস্তশিল্প (কক্সবাজার)।
২৯-৩০ মার্চ ঢাকায় এই সাত পরিকল্পনা প্রদানকারী দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় ‘বুট ক্যাম্প।’ যেখানে তাদের পরিকল্পনা নিয়ে মেন্টরিং করা হয়। সেভ দ্য চিলড্রেনের বিশেষজ্ঞসহ সরকারি প্রতিষ্ঠান বিএডিসি, বিএসটিআই এবং আই ফার্মার, লাল তীর, নগরদোলা, বেসিসের মতো প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারাও যার যার সেক্টর সংশ্লিষ্ট পরিকল্পনা প্রদানকারী দলকে দুইদিন ওয়ার্কশপের মধ্যে দিয়ে মেন্টরিং করেন।
বৃহস্পতিবার জেলা পর্যায়ে বিজয়ী দলগুলো ঢাকার একটি হোটেলে বিচারকদের সামনে তাদের পরিকল্পনাগুলো মডেল আকারে উপস্থাপন করে। বিচারকদের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার কর্মী, ব্যবসায়ী, তরুণ উন্নয়ন বিষেশজ্ঞ এবং প্রকৌশলী ছিলেন। উপস্থাপনের পর প্রতিটি দল তাদের পরিকল্পনা বিষয়ে এক মিনিটে বর্ণনা করে। বিচারকমণ্ডলী নম্বর প্রদানের মাধ্যমে চূড়ান্ত তিন বিজয়ী নির্ধারণ করেন। তিনটি অবস্থানে বিজয়ী হয় মোট পাঁচটি দল।
১ম হয়ে ২ লাখ টাকা জিতে নেয় টিম কোকো সার, ২য় অবস্থানে আছে টিম স্বপ্নকন্যা, তারা জিতে নেয় ১ লাখ টাকা এবং যৌথভাবে ৩য় অবস্থানে থেকে ১ লাখ টাকা করে জিতে নিয়েছে তিনটি দল- মৌলভীবাজার বিজওয়ালা, ইউরেকা গ্রুপ এবং ষোল আনা খাঁটি দুধ।
এএসএস/এনএফ