রমজান উপলক্ষে প্রতিবারের মতো এবারও পুরান ঢাকার চকবাজারে বসেছে ঐতিহ্যবাহী ইফতার বাজার। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসার কারণে গতবারের তুলনায় এবার বেশ জমজমাট চকবাজারের ইফতারের দোকানগুলো। 

রোববার বিকেলে চকবাজারের ইফতার বাজার ঘুরে দেখা যায়, দোকানিরা বাহারি ইফতারের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। দোকানগুলোতে ফালুদা প্রতি বাক্স ২০০ টাকা, ফিরনি প্রতি বাক্স ১০০ টাকা, প্রতি লিটার মাঠার বোতল ৮০ টাকা,  দুই লিটার পেস্তা বাদাম শরবতের বোতল ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

জিলাপি প্রতি পিস ৫-১০ টাকা, ছোলা বুট প্রতি কেজি ১০০ টাকা, মুরগি রান ৯০ টাকা, আস্ত মোরগ ৪০০ টাকা, মোগলাই পরোটা প্রতি পিস ৫০ টাকা, মিষ্টি পরোটা ৩০ টাকা, চামুচা প্রতি পিস ১০ টাকা, ডিম চপ প্রতি পিস ১৫ টাকা, আলু চপ প্রতি পিস ৫ টাকা, হালিম বাক্সভেদে ৫০-২০০ টাকা, পেঁয়াজু প্রতি পিস ৫ টাকা, ভাজা পরোটা প্রতি পিস ১৫ টাকা, সবজি কাবাব প্রতি পিস ৫ টাকা, বেগুনি প্রতি পিস ৫ টাকা, বুটের বুটের ঘুগনি ১০-৫০ টাকা, দই বড়া ১ কেজি ২০০ টাকা, ভেজিটেবল রোল ৩০ টাকা, চিকেন টোস্ট ২০ টাকা, চিকেন জালি কাবাব প্রতি পিস ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

১২টি পদ (গরু বাদে কোয়েলের মাংস ও কলিজা, খাসির কলিজা, মগজ, দেশি মুরগির ডিম ইত্যাদি) ও মশলায় তৈরি বড় বাপের পোলায় খায় প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দোকানিরা ছন্দে হাঁকছেন, বড় বাপের পোলায় খায়, ঠোঙায় ভইরা লইয়া যায়, ধনী-গরিব সবাই খায়, মজা পাইয়া লইয়া যায়।

মালিবাগ থেকে ইফতার কিনতে আসা মো. মেসবাহ উদ্দিন বলেন, পরিবারের সবাই মিলে একসঙ্গে আজ ইফতার করব। অফিস থেকে ছুটি নিয়ে ইফতার কিনতে এসেছি। খাসি ও মুরগির রান, বড় বাপের পোলায় খায় কিনলাম। পেঁয়াজু, ছোলা-বুট বাসায় ব্যবস্থা হচ্ছে।

ইফতার বিক্রেতা মো. জুয়েল বলেন, আমাদের ক্রেতা আছে অনেক। প্রথম দিন হিসেবে বিক্রি ভালো হয়েছে। পরোটা বাদে বাকি আইটেমগুলো শেষ হয়ে গেছে। গত বছরের তুলনায় এবার বিক্রি ভালো হয়েছে।

বড় বাপের পোলায় খায় বিক্রেতা মো. হোসেন বলেন, এটি ১২টি পদ ও মসলা দিয়ে বানানো হয়। কোয়েলের মাংস, খাসির মগজ, দেশি মুরগির ডিম, কলিজাসহ বিভিন্ন পদ থাকে। তবে গরু থাকে না। প্রতিদিনই এ আইটেম শেষ হয়ে যায়।  

এমটি/আরএইচ