ফাইল ছবি

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে আগামী ৫০ বছরে সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেওয়ায় প্রত্যাশায় আমি উদ্দীপ্ত। সোমবার (৪ এপ্রিল) ঢাকা-ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির দিনে এক ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।

রাষ্ট্রদূত বলেন, আজ যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ হলো। এখানে থাকতে পেরে দিনটি আপনাদের সঙ্গে উদযাপন করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। এক কথায় অবিস্মরণীয় এ সময়ে এখানে থাকতে পারা দুর্দান্ত একটা বিষয়। আমাদের অংশীদারিত্ব উদযাপনের আজকের এই চমৎকার দিনে আগামী ৫০ বছরের পথচলার প্রত্যাশা করছি।

বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশ অবিশ্বাস্য অগ্রগতি অর্জন করেছে উল্লেখ করে পিটার হাস বলেন, বাংলাদেশের বিগত ৫০ বছরের অগ্রগতির দিকে তাকালে আমি দেখতে পাই, বাংলাদেশ অবিশ্বাস্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য হ্রাসের ক্ষেত্রে অগ্রগতি আপনারা অর্জন করেছেন, এসব সত্যিই চমকপ্রদ এবং আমি খুশি যে বিগত ৫০ বছরের অগ্রগতিতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অংশীদার হয়েছে।

ভিডিও বার্তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডির গাছ লাগানোর কথা স্মরণ করেন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনের এই দিনে একটি জিনিসের কথা মনে আসছে, যা আমাদের সম্পর্কের সত্যিকার অর্থে প্রতীক হিসেবে প্রকাশ করে। সেটা হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডির লাগানো গাছ। এটা সেই জায়গা যেখানে অনেক নৃশংসতার ঘটনা ঘটেছিল ও পাকিস্তানী আর্মি এখানকার গাছটি কেটে দিয়েছিল এবং সিনেটর কেনেডি সেই জায়গাতেই আরেকটি গাছ লাগিয়েছিলেন এবং সেটা এখনও সেখানেই আছে।

সম্প্রতি ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করতে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডির লাগানো গাছটি পরিদর্শন করেন পিটার। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি যখন সেই গাছ দেখতে গিয়েছিলাম তখন মনে হয়েছিল গাছটি আমাদের সম্পর্কের পুরো পথ পরিক্রমাটিই যেন তুলে ধরছে, জানিয়ে দিচ্ছে আমাদের সম্পর্ক কীভাবে এই গাছের মতো দৃঢ় ও মজবুত।

ঢাকা-ওয়াশিংটনের একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আমাদের একসঙ্গে কাজ করার দুর্দান্ত সব সুযোগ রয়েছে, সেটা মানবাধিকার, গণতন্ত্র, দরিদ্র বিমোচন থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তোলা সব ক্ষেত্রেই।

এ সময় হাস যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অধ্যয়নের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক বিনিময় বাড়ছে বলে ভিডিও বার্তায় উল্লেখ করেন।

এনআই/এসএসএইচ