২০১৫ সালে শুরু হওয়া সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে ৯২ শতাংশ

চট্টগ্রাম নগরীর যানজট সমস্যা সমাধানে বায়েজিদ বোস্তামি থেকে সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। ২০১৫ সালে শুরু হওয়া সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে ৯২ শতাংশ। তবে পরিবেশের অনুমোদনের তুলনায় বেশি পাহাড় কাটা ও ৯০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে খাড়াভাবে পাহাড় কাটায় সিডিএকে ১০ কোটি টাকা জরিমানা এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে মামলা করে পরিবেশ অধিদপ্তর। এ অবস্থায় মামলা ও জরিমানার বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় ঝুলে আছে বায়েজিদ লিংক রোড প্রকল্পের অসমাপ্ত কাজ। 

এদিকে প্রকল্পের অসমাপ্ত কাজ শেষ করার লক্ষ্যে ও মামলা থেকে সিডিএ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে অব্যাহতি দিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর চিঠি দিয়েছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী। গত ৬ মার্চ লেখা ওই চিঠিতে প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগিতা চাওয়া হয়।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস ঢাকা পোস্টকে বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলার জন্য পাহাড় রিটেনশনের কাজ দেরি হচ্ছে। অনুমতি পেলেই রিটেনশনের কাজ শুরু হবে। পাহাড় ঝুঁকিমুক্ত না করা গেলে গত বছরের মতো এ বছরও ভারী বৃষ্টি হলে সড়কটি দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিতে হবে। অনুমতি না পাওয়ায় পাহাড়ের ঢাল সুরক্ষার কাজটি সম্পন্ন   করা সম্ভব হয়নি। 

সড়কটি নির্মাণের জন্য অধিদপ্তর থেকে আড়াই লাখ ঘনফুট পাহাড় কাটার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে ১০ লাখ ৩০ হাজার ঘনফুট পাহাড় কাটা হয়। এজন্য সিডিএকে ২০২০ সালে ১০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি মামলা করা হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বায়েজিদ বোস্তামি থেকে সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট পর্যন্ত ৬ কিলোমিটারের চার লেনবিশিষ্ট সড়কটি নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২০ কোটি টাকা। একাধিকবার প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়েও বিভিন্ন জটিলতায় কাজ শেষ করতে পারেনি সিডিএ। ফৌজদারহাট পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়কে ছোট-বড় ১৮টি পাহাড় রয়েছে। এর মধ্যে সিডিএর মাধ্যমে পাহাড় কাটার কারণে পাঁচ-ছয়টি পাহাড় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে ভারী বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের ঘটনাও ঘটতে পারে।

পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সড়কটি নির্মাণের জন্য অধিদপ্তর থেকে আড়াই লাখ ঘনফুট পাহাড় কাটার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে ১০ লাখ ৩০ হাজার ঘনফুট পাহাড় কাটা হয়। এজন্য সিডিএকে ২০২০ সালে ১০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি মামলা করা হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এরইমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ খাড়া পাহাড়গুলো নতুন করে কেটে সুরক্ষার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরে পুনরায় আবেদন করে সিডিএ। ওই আবেদনে নতুন করে ৩ লাখ ৩২ হাজার ঘনমিটার পাহাড় কাটার অনুমতি চায় সংস্থাটি। এরপর ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়গুলো কাটা ও সংরক্ষণ কীভাবে করা হবে, সে বিষয়ে সিডিএর কাছে বিশেষজ্ঞ মতামতসহ প্রতিবেদন চায় পরিবেশ অধিদপ্তর। 

সিডিএ বলছে, পরিবেশের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে। কিন্তু আপিলের শুনানি হয়েছে একবার। এই বিষয়ে আর কোনো শুনানি হয়নি। মামলা ও জরিমানার বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়ায় ঝুলে আছে বায়েজিদ লিংক রোড প্রকল্পের অসমাপ্ত কাজ।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস ঢাকা পোস্টকে বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে জরিমানা ও মামলা করার পরে আমরা আপিল করেছি। কিন্তু আপিলের পর মাত্র একবার শুনানি হয়েছে। আমরা যে উত্তর দিয়েছি, এরপর আর পরিবেশ থেকে কোনো উত্তর নেই। বিষয়টি সমাধান না করায় কাজ আটকে আছে। পরিবেশ থেকে বিশেষজ্ঞ দিয়ে নতুন করে পাহাড় কাটার বিষয়ে ডিজাইন করতে বলা হয়েছে। কিন্তু তা করাতে অনেক টাকার প্রয়োজন। যা প্রকল্পে নেই। কিন্তু আমরা প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সুপারিশ অনুযায়ী ডিজাইন ড্রয়িং জমা দিয়েছি। কিন্তু তা গ্রহণ করে কাজের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া পরিবেশ থেকে প্রকল্পের পরিবেশগত ছাড়পত্র নবায়ন করা হচ্ছে না।

তিনি বলেন, আসছে বর্ষার আগে পাহাড় রক্ষণাবেক্ষণ করা না গেলে ভারী বৃষ্টি হলেই সড়কটি বন্ধ রাখতে হবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে এ সড়কে গাড়ি চলাচল শুরু হলেও প্রকল্পের অন্যান্য কাজ এখনো শেষ হয়নি। বিশেষ করে সড়কের দুই পাশের পাহাড়ের ঢাল লেভেল না করায় মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে সড়কটি। সম্প্রতি চট্টগ্রাম পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ২৩তম সভায়ও এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কমিটির সদস্যরা।

এদিকে প্রকল্পের অসমাপ্ত কাজ শেষ করার লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর চিঠি দিয়েছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস। ৬ মার্চ লেখা ওই চিঠিতে প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগিতা চাওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) অধীনে 'এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর বহিঃসীমানা দিয়ে লুপ রোড নির্মাণসহ ঢাকা ট্রাংক রোড থেকে বায়েজিদ বোস্তামি পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ' শীর্ষক প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ চারলেনের রাস্তা, সেতু, কালভার্ট, ড্রেন ইত্যাদি নির্মাণ কাজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কাপ্তাই, রাঙামাটি, হাটহাজারী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া থেকে আসা যানবাহনগুলো চট্টগ্রাম শহরে প্রবেশ ব্যতিরেকে সহজে ঢাকা ট্রাংক রোডে পৌঁছতে পারবে। এছাড়া এ রাস্তাটি সদরঘাট সড়ক, শাহ আমানত ব্রিজ সড়ক, অক্সিজেন কুয়াইশ সড়ক, বায়েজিদ বোস্তামি থেকে ঢাকা ট্রাংক রোড পর্যন্ত সংযোগ সড়কের মাধ্যমে আউটার রিং রোড এর একটি অংশ হিসেবে কাজ করবে।

সিডিএ থেকে দেওয়া চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন মাস্টারপ্ল্যান অনুসরণে চট্টগ্রামকে একটি পরিকল্পিত নগরীতে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সুপরিকল্পিত প্রাইমারি ডিস্ট্রিবিউশন রোড নেটওয়ার্কের অংশ হিসাবে প্রায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কের নির্মাণ কাজ হাতে নেওয়া হয়। ওই বাইপাস সড়ক এরইমধ্যে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলোর দূর-পাল্লার যানবাহন চট্টগ্রাম শহরের ভেতরে প্রবেশ না করে সহজভাবে চলাচল করতে পারছে। চট্টগ্রাম শহরের যানজট নিরসনে সর্বোপরি দেশের রোড ট্রান্সপোর্টেশন সহজ করার ক্ষেত্রে প্রকল্পটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

পরিবেশের মহাপরিচালকের কাছে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, বাইপাস সড়কটি নির্মাণে সার্বিকভাবে সিডিএকে সহযোগিতা দেওয়ার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরকে বিভিন্ন সময়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সড়কের অ্যালাইনমেন্ট বরাবর পাহাড় কর্তন/ড্রেসিং কাজে সিডিএ, পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট ছিলেন। পরিবেশ ছাড়পত্র ইস্যু করা সত্বেও পাহাড় কর্তনের জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (সিডিএ) দায়ী করা হয়েছে এবং জরিমানা করা হয়েছে। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লি. এর বিরুদ্ধে ২টি এনফোর্সমেন্ট মামলা করা হয়েছে ও জরিমানা করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের চাহিদামতে পাহাড়ের ঢাল সুরক্ষা কাজের জন্য প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সুপারিশ অনুযায়ী ডিজাইন ড্রয়িং দাখিল করা হয়েছে। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক প্রকল্পের পরিবেশগত ছাড়পত্র নবায়ন না করায় এবং দাখিল করা ডিজাইন ড্রয়িং অনুযায়ী কাজ করার অনুমতি না দেওয়ায় পাহাড়ের ঢাল সুরক্ষা কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি।

বর্তমানে এ সড়কে গাড়ি চলাচল শুরু হলেও প্রকল্পের অন্যান্য কাজ এখনো শেষ হয়নি। বিশেষ করে সড়কের দুই পাশের পাহাড়ের ঢাল লেভেল না করায় মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে সড়কটি। সম্প্রতি চট্টগ্রাম পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ২৩তম সভায়ও এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কমিটির সদস্যরা।

চিঠিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভিন্ন এনফোর্সমেন্ট মামলা থেকে সিডিএ এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্সকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য এবং আলোচ্য প্রকল্পের অনিষ্পন্ন কাজ দ্রুত শেষ করতে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়ার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিশেষ অনুরোধ জানানো হয়। 

চিঠির বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস ঢাকা পোস্টকে বলেন, মহাপরিচালক বরাবর সিডিএ থেকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে এই বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কার্যালয় থেকে কোনো কিছু জানানো হয়নি।

তিনি বলেন, বর্তমান অবস্থা থেকে কীভাবে পাহাড়গুলো কাটা ও সংরক্ষণ করা হবে, সে বিষয়ে চুয়েট বা বুয়েটের বিশেষজ্ঞ মতামতসহ প্রতিবেদন চেয়েছিলাম সিডিএর কাছে, তা এখনও পায়নি। 

সড়কটির প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আসাদ বিন আনোয়ার ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমানে প্রকল্পটির ৯২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট মামলার কারণে প্রকল্পের রেলওয়ে ওভারব্রিজ, কালভার্টের রির্টানিং ওয়ালের কাজ শেষ হয়নি। পাহাড় সুরক্ষার কাজ এখনো শেষ করা যায়নি। বর্ষা মৌসুমের আগেই যেন অতি ঝুঁকিপূর্ণ পাঁচটি পাহাড় রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারি সে ব্যাপারে চিঠি দিয়েছি। আমরা আবারও চিঠি দেব তাদেরকে, বর্ষার আগেই কাজটি করতে চাইছি। যাতে বর্ষায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হয়। এরপরেও কাজ না হলে বর্ষা মৌসুমে ঝুঁকি তৈরি হলে সড়কটি বন্ধ করে দিতে হবে।



বায়েজিদ লিংক রোডের বিষয়ে চুয়েটের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, একটি বিশেষজ্ঞ টিম দিয়ে সড়কটি যাচাই-বাছাই করা দরকার। নিরপেক্ষভাবে অ্যানালাইসিস করা দরকার। এটা করে সমস্যার সমাধান করতে হবে। কারণ এখন একেক সংস্থা একেক ধরনের কথা বলছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা বৈজ্ঞানিকভাবে অ্যানালাইসিস করতে একটি কমিটি করার প্রয়োজন বিশেষজ্ঞ নিয়ে। তারপর সড়কটির পাহাড়গুলো কী করা দরকার সে সিদ্ধান্ত তারাই দেবেন। তাহলেই পাহাড় রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়টি সঠিক উপায় পাওয়া যাবে। 

তিনি বলেন, বর্তমানে পাহাড়গুলো যে অবস্থায় আছে, তাতে বৃষ্টি হলে যেকোনো মুহূর্তে ভূমিধস হতে পারে। যে স্লোপে পাহাড়গুলো রাখার কথা, সেই স্লোপে নেই। রাস্তাটি দিয়ে গাড়ি চলছে। তাই রাস্তাটি নিরাপদ করার প্রয়োজন। রাস্তাটি নিরাপদ রাখতে হলে কী কাজ করতে হবে, তা নিরপেক্ষ একটি কমিটির মাধ্যমে দ্রুত যাচাই-বাছাই করতে হবে। সব সংস্থাকে নিয়ে সমন্বয় করা দরকার।

পাহাড় কেটে সিডিএ অপরাধ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন পাহাড় স্লোপে আনতে হবে। তারপর পাহাড়টি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিতে হবে।

কেএম/জেডএস