জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ আইন-২০২২ এর খসড়ার উপর মতামত দেওয়ার সময় বাড়িয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সোমবার (১১ এপ্রিল) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, সর্বজনীন পেনশন প্রবর্তন করার লক্ষ্যে অর্থ বিভাগ কর্তৃক জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০২২ এর খসড়া প্রণয়ন করে গত ২৯ মার্চ অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এই খসড়া আইনের বিষয়ে আগামী ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত ওয়েবসাইটের লিংক ব্যবহার করে সুচিন্তিত মতামত প্রদান করার সময় বর্ধিত করা হয়েছে।

এর আগে মতামত দেওয়ার সময় মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) পর্যন্ত নির্ধারণ করা ছিল।

অর্থমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে সরকারি ও বেসরকারি খাতের সমন্বয়ে ১৫ সদস্যের গভর্নিং বোর্ডের মাধ্যমে সরকারের প্রস্তাবিত সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা পরিচালিত হবে। গভর্নিং বডির সদস্যরা হলেন- গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সচিব, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চেয়ারম্যান, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন সভাপতি, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) সভাপতি, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন সভাপতি, বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (বিডব্লিউসিসিআই) নির্বাহী চেয়ারম্যান, যিনি এর সদস্য সচিবও হবেন।

সর্বজনীন খসড়া আইন অনুযায়ী, জাতীয় পরিচয়পত্রকে ভিত্তি ধরে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতায় ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়স থেকে ৫০ বছর বয়সী সব বাংলাদেশি নাগরিক অংশগ্রহণ করতে পারবে। বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীরা এ কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে। অন্য কোনো আইনে যাই থাকুক না কেন, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত সরকারি ও আধা-সরকারি বা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীরা সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার আওতা বহির্ভূত থাকবে। সরকার কর্তৃক সরকারি গেজেটে বাধ্যতামূলক করে প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত, প্রাথমিকভাবে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্তি স্বেচ্ছাধীন থাকবে।

অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনায় অন্তর্ভুক্তির পর একজন চাঁদাদাতা ধারাবাহিকভাবে কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দেওয়া সাপেক্ষে মাসিক পেনশন পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবে। চাঁদাদাতার বয়স ৬০ বছর পূর্তিতে পেনশন তহবিলে পুঞ্জিভূত মুনাফাসহ জমার বিপরীতে পেনশন দেওয়া হবে। প্রতিটি চাঁদাদাতার জন্য একটি পৃথক ও স্বতন্ত্র পেনশন হিসাব থাকবে, যা এই আইনের অধীনে প্রণীত বিধি পরিচালিত হবে।

এসআর/জেডএস