আগামী ১৫ থেকে ২১ জুন সপ্তাহব্যাপী সারাদেশে পরিচালিত হবে জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ এর কার্যক্রম। সপ্তাহব্যাপী বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রতিটি খানার আর্থ-সামাজিক অবস্থাসহ মোট জনসংখ্যার তথ্য নেওয়া হবে। যার পরিপ্রেক্ষিতেই দেশের মোট জনসংখ্যাসহ খানার আর্থ-সামাজিক অবস্থার চিত্র উঠে আসবে।

বুধবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ বিষয়ে সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে অবহিতকরণ কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন। পরে প্রশ্ন উত্তর পর্ব পরিচালনা করেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপসচিব ড. দীপংকর রায়।

প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় বিভিন্ন চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হচ্ছে। উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল। করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত বিশ্বে ঘুরে দাঁড়িয়ে পুনরায় অর্থনীতির চাকা সচল করার বিষয়ে তথ্য প্রযুক্তির ভূমিকা অনস্বীকার্য। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন ডিজিটাল উদ্যোগ মানুষকে দেখিয়েছে নতুন পথ, জুগিয়েছে প্রেরণা। সময় ও যুগের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সময়োপযোগী, নির্ভুল তথ্য প্রদান এবং সরকার ঘোষিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে অবদান রাখার অভিপ্রায়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রথম ‘ডিজিটাল শুমারি’ পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

তিনি জানান, পরিসংখ্যান আইন ২০১৩ অনুযায়ী আদম শুমারিকে ‘জনশুমারি’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। জনশুমারি ও গৃহগণনা বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশেই পরিচালিত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যাপকভিত্তিক পরিসংখ্যানিক কার্যক্রম। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম জনশুমারি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৪ সালে। ২য় জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮১ সালে। দশ বছর পর্যাবৃত্তি অনুসরণপূর্বক দেশের ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম জনশুমারি ও গৃহগণনা যথাক্রমে ১৯৯১, ২০০১ ও ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত হয়। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে পৃথিবীর অন্য অনেক দেশের ন্যায় ৬ষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনায় ১০ বছর পর্যাবৃত্তি অনুসরণপূর্বক ২০২১ সালে পরিচালনা করা সম্ভব না হলেও আগামী ১৫-২১ জুনে মূল শুমারির তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

জানা যায়, এ উপলক্ষে ‘শুমারি সপ্তাহ’ হিসেবে ১৪ জুন দিবাগত রাত ১২টা (শূন্য মুহূর্ত ১৫ জুন)-কে ‘শুমারি রেফারেন্স পয়েন্ট/সময়’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। 

শুমারির বার্তা সর্ব সাধারণের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে শুমারির প্রাক্কালে অর্থাৎ ১৪ জুন তৎপূর্বে যেকোন সুবিধাজনক সময়ে প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। যা ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

এসআর/এসএম