চট্টগ্রাম থেকে অপহৃত শিশু হবিগঞ্জে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩
চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার রৌফাবাদ এলাকার রাজা মিয়ার কলোনি থেকে ১৮ মাসের এক শিশুকে অপহরণের ঘটনায় তিন জনকে হবিগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় ১৮ মাসের শিশু আরজুকে উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার ( উত্তর) মোখলেছুর রহমান।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, শিশুটিকে বিক্রি করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে চুরি করা হয়েছিল। কিন্তু স্বল্প সময়ের মধ্যে অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে ফেলায় তা সম্ভব হয়নি। চক্রটি আগে এমন কাজ করেছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- কুলসুম সুমি (২৭), তার স্বামী সোহেল ও সোহেলের মা খোরশেদা বেগম (৫৫)।
বিজ্ঞাপন
চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বায়েজিদ বোস্তামী থানার রৌফাবাদ এলাকার রাজা মিয়ার কলোনিতে গার্মেন্টসকর্মী মুক্তা বেগম পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। তার স্বামী আব্দুল খালেক একজন মাংস বিক্রেতা। মুক্তা গত ১৩ এপ্রিল সকাল ৭টার পরে বড় মেয়ে নাজমা আক্তারের কাছে ছোট ছেলে আরজুকে রেখে কাজে যায়। সে সময় তার স্বামীও মাংস বিক্রির জন্য বাসা থেকে বের হয়। মুক্তার বড় মেয়ে আরজুকে রেখে কলোনির অন্যপাশে গেলে কুলসুম আরজুকে চুরি করে কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে মুক্তা গার্মেন্টস থেকে এসে খোঁজাখুঁজি করে বাচ্চাকে না পেয়ে পুলিশকে জানায়।
পুলিশ কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলের আশেপাশের ফুটেজ দেখে কুলসুমকে শনাক্ত করা হয়। পুলিশ বিশেষ টিম গঠন করে কুলসুমের পরিচয় শনাক্ত করে।
তিনি বলেন, তদন্তের সময় জানা যায় কুলসুম বেগমের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলায় হলেও তার কথিত স্বামী সোহেলের বাড়ি মৌলভীবাজার জেলায়। কুলসুম বাচ্চাটি চুরি করার পর রৌফাবাদ থেকে কৌশলে আমিন কলোনি এলাকায় আত্মগোপন করে। পরে তার কথিত স্বামী সোহেল ও তার মা খোরশেদা বেগমসহ নিজ বাড়ি মৌলভীবাজার না গিয়ে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানা এলাকায় খবরা নামক গ্রামে গিয়ে আত্মগোপন করে। ১৫ এপ্রিল অভিযান পরিচালনা করে শিশু আরজুকে উদ্ধার করা হয়।
ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান ওসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
কেএম/জেডএস