ভর্তুকির টাকায় প্রতি বছর একটি করে পদ্মাসেতু করা সম্ভব
পানিসম্পদ প্রতিমস্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি বলেছেন, বেগম জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে সারের দাবি তোলায় ২০ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু এখন বিনা পয়সায় বিজ ও সার দিতে চাইলেও লোক নিতে আসে না।
তিনি বলেন, বাজারে ইউরিয়া সারের দাম ৯৮ টাকা হলেও ৮২ টাকা ভর্তুকি দিয়ে সরকার ১৬ টাকায় কৃষকদের সার দিচ্ছেন। তেমনি টিএসপি সারে ৬৫ টাকা ভর্তুকি দিয়ে ২২ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ডিএপি সার সরকারের পক্ষ থেকে বিক্রি করা হয় ১৬ টাকা করে, যেটার বাজারে দাম ৯৬ টাকা। ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে ৮০ টাকা। এমওপির বাজারের দাম ৬৩ টাকা। সরকার ৪৮ টাকা ভর্তুকি দিয়ে ১৫ টাকায় বিক্রি করছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, কৃষিখাতে যে পরিমাণে ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার, সেই টাকা দিয়ে প্রতিবছর একটি করে পদ্মাসেতু তৈরি করা সম্ভব।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) বরিশাল সদর উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
বিজ্ঞাপন
জাহিদ ফারুক বলেন, কৃষিখাতে সরকার প্রতি বছর ৩০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। কৃষি থেকে আজ আমরা অভ্যন্তরীন চাহিদা মেটাচ্ছি। এখন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিদেশে রপ্তানি করার প্রক্রিয়া চলছে। আমরা আম, পেয়ারা, সবজি রপ্তানি করছি। এগুলো হলে কৃষিখাতেও বিদেশি মুদ্রা আয় করতে পারব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের ছোট দেশে বিপুল জনসংখ্যা। স্বাধীনতার সময় ৭ কোটি মানুষ ছিল। এখন ১৭ কোটি মানুষ। কিন্তু আমাদের জমির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়নি। যখনই ফসলের জমির পরিমাণ কমে যাবে, উৎপাদনের পরিমাণও কমে যাবে। কারণ বিজ্ঞানীরা যতই গবেষণা করুক, এরও একটা সীমা রয়েছে। আমার অনুরোধ, আপনার সন্তানদের জমি ভাগ করে দিন কিন্তু বসবাস একত্রে করুন। ফসলি জমি মেহেরবানি করে নষ্ট করবেন না।
বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. হারুন অর রশিদ, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ মাহমুদুল হক খান মামুন, সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. মাহবুবুর রহমান মধু প্রমুখ।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমএএস