রাজধানীর নিউমার্কেটে ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় ব্যবসায়ী, দোকানের কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেলের পরিচালক। 

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসতে থাকেন। তাদের বেশিরভাগকেই জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

সংঘর্ষে আহত হন ৭ জন সাংবাদিক। এদের মধ্যে ৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আহত সাংবাদিকরা হলেন দীপ্ত টিভির সিনিয়র রিপোর্টার আসিফ সুমিত, ক্যামেরাপারসন ইমরান লিপু, এসএ টিভির সিনিয়র ক্যামেরাম্যান কবির হোসেন এবং আজকের পত্রিকার সাংবাদিক আল আমিন রাজু।

আহত ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা হলেন মো. রাহাত হোসেন (২২) রাষ্ট্রবিজ্ঞানের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মো. জসিম (২৩), তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আলী হোসেন (২২), অ্যাকাউন্টিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সাদমামতাজ আপন (২৩), তৃতীয় বর্ষের ছাত্র কানন (২৫)।

আহত বিভিন্ন দোকানের কর্মচারীরা হলেন মো. সাজ্জাদ (২৫), মো. সেলিম (৪২), মো. রাজু (১৬), মো. কাওছার আহমেদ (১৮), মো. আপেল (১৬), মো. সাগর (১৮), মো. রাসেল (১৫), মো. রাহাত (১৯), মো. আরাফাত জামান (১৮), রুবেল (২৫), মো. নাজমুল (২০), মো. রায়হান (১৭), মো. আরিয়ান (১৮), মো. রাসেল (২৬), মো. হৃদয় (১৮), মো. মেহেদী (১৭), মো. শুকুর আলী (১৯), মো. আকন (১৮), মো. নাসির (২৪), মো. রিয়াজ (১৮), মো. সাজ্জাত হোসেন (১৮), ইয়ামিন (১৮), ইমরান (৩০), রাহাত (১৯), রুবেল (২২), শান্ত (১৫), জসিম (১৫), নান্নু (২৪), আলামিন (২৬), পারভেজ (২২), কাজী সুমন (২৬), জসিম (২২), আপেল (৩৪), আলিফ (২২), মহিউদ্দিন (২৬), রুবেল (১৮), শাফিন (২৩), রাহাদ (১৯) মোরসালিনসহ (২৬) অজ্ঞাতনামা আরও ২০ জন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের এখানে থেমে থেমে রোগী আসছে। সংঘর্ষে আহত হয়ে প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ী এখানে এসেছেন। তাদের চিকিৎসায় আমাদের কুইক রেসপন্স টিম সক্রিয় রেখেছি। বেশিরভাগ রোগী মাথায় আঘাত পেয়ে আমাদের এখানে এসেছেন। 

তিনি আরও বলেন, দুইজন রোগীর অবস্থা খুবই গুরুতর। আমরা তাদের জরুরি বিভাগের অবজারভেশন রুমে রেখেছি। যাদের কাছে টাকা নেই আমরা তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করছি। বেশিরভাগ আহতদের হাসপাতালে ভর্তি দেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখানে সাংবাদিক, ছাত্র, কর্মচারীসহ অর্ধশত মানুষ আহত হয়ে এসেছেন। এদের মধ্যে মোরসালিন ও অজ্ঞাতনামা এক যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের জরুরি বিভাগের অবজারভেশন সেন্টারে রাখা হয়েছে। আহতদের বেশিরভাগের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

এসএএ/এসকেডি/জেএস