পেশাগত ফাইনাল পরীক্ষায় পাস করলেও ৬ মাসে ইন্টার্নশিপের সুযোগ পাচ্ছেন না কেয়ার মেডিকেল কলেজের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থায় বিএমডিসি অনুমোদিত মেডিকেলে মাইগ্রেশনের দাবি জানিয়েছেন তারা।বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থীরা বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত। আমাদের ফাইনাল পেশাগত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল নভেম্বর ২০২০ এ, কিন্তু করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে ৮ মাস পিছিয়ে ২০২১ সালের আগস্টে তা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আমাদের ফল প্রকাশিত হয় ১৮ অক্টোবর। সেই অনুযায়ী আমাদের ইন্টার্নশিপ শুরু হওয়ার কথা ছিল ১ নভেম্বর। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ, অন্যান্য সকল সরকারি বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ১ নভেম্বর এ ইন্টার্নশিপ শুরু হয়ে গেলেও, কেয়ার মেডিকেল কলেজ বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশনের আওতায় না থাকায় আমরা ইন্টার্নশিপ শুরু করতে পারিনি।

শিক্ষার্থীরা বিএমডিসির সঙ্গে কেয়ার মেডিকেল কলেজের সমস্যার কথা তুলে ধরে বলেন, মেডিকেল কলেজের নীতিমালা অনুযায়ী কেয়ার মেডিকেল কলেজর বিভিন্ন ত্রুটি থাকায় বিএমডিসি তাদের পরবর্তী সেশনগুলোর ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। হাসপাতাল ব্যবস্থাপনাসহ নানা অসংগতি ঠিক করার জন্যে কেয়ার মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষকে বিএমডিসি থেকে চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু কেয়ার মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ সেই চিঠির ও সঠিক জবাব দিতে পারেনি। এ অবস্থায় কলেজ কর্তৃপক্ষের নানা আশ্বাসে আমরা মেডিকেলে ডিউটি শুরু করলেও পরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানতে পারি কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিএমডিসির নানা জটিলতায় অনুমোদন দিচ্ছে না বিএমডিসি।

শিক্ষার্থীরা দাবি জানিয়ে বলেন, বিএমডিসি জটিলটার কারণে আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে মাইগ্রেশনের দাবি জানালে তারা প্রথমে দ্বিমত পোষণ করে। বারবার বলার পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের ইন্টার্ন ব্যাচকে মাইগ্রেশন করাতে রাজি হলেও এখন পর্যন্ত আমাদের মাইগ্রেশনের সুযোগ হয়নি। তাই আমরা দ্রুত মাইগ্রেশনের সুযোগ চাচ্ছি।

এমএইচএন/এসকেডি