অগ্নিকাণ্ড যাতে না ঘটে সেজন্য দেশের জনগণকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (২৪ এপ্রিল) নবনির্মিত ৪০টি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন উদ্বোধনকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরপ্রান্তে যুক্ত হন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ফায়ার স্টেশনগুলো এবং এর মূল্যবান যন্ত্রপাতি জনগণের সম্পত্তি। এগুলোর যথাযথ যত্ন নেবেন। সর্বোচ্চ সেবা যাতে আমরা পেতে পারি সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।

এ সময় জলাধার সংরক্ষণ, বিভিন্ন ভবন, কল-কারখানায় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন তিনি।

সরকার প্রধান বলেন, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে দেশের অগ্নিঝুঁকি ও অন্যান্য দুর্যোগ মোকাবিলার পূর্ণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বাহিনী আমাদের প্রয়োজন।

এছাড়া বিভিন্ন কল-কারখানা, বড় মার্কেটগুলোতে মাঝে মাঝে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে কি করতে হবে, কীভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ এবং সাধারণ কর্মীদের নিয়ে মাঝে মাঝে মহড়া করার পরামর্শ দেন তিনি।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সক্ষমতা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফায়ার একাডেমি’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে নবনির্মিত ৪০টি ফায়ার স্টেশনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর ফলে দেশের পাঁচটি বিভাগের, ২৫টি জেলার, ৩৯টি উপজেলার ৪০টি ফায়ার স্টেশনের কার্যক্রম নতুন করে চালু হলো।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ২০০৯ সালে দেশে ফায়ার স্টেশন ছিল মাত্র ২০৪টি। বর্তমানে দেশে চালু ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা ৪৫৬টি।

আগামী ৩০ জুনের মধ্যে নতুন আরও ৫৫টি ফায়ার স্টেশনের কার্যক্রম শুরু করা যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সারা দেশে প্রত্যেক উপজেলা ও গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে ফায়ার স্টেশন নির্মাণে তিনটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। চলমান তিনটি প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ফায়ার স্টেশনের মোট সংখ্যা হবে ৫৪৪টি।

অনুষ্ঠানে ঢাকায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরপ্রান্তে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন প্রমুখ।

এইউএ/এসএসএইচ