বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের প্রশাসনিক ক্ষেত্রগুলোতে পদ ও বেতন গ্রেডে পিছিয়ে থাকা নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। তিনি বলেছেন, আমার কয়েকজন সরাসরি ছাত্র এখন যুগ্ম-সচিব হয়ে গেছে, অতিরিক্ত সচিবরা আমাদের জুনিয়র। কিন্তু আমরা চতুর্থ গ্রেডের কর্মকর্তাই আছি।

সোমবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকা কলেজে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আ. ন. ম. নজীব উদ্দিন খান খুররম অডিটোরিয়ামে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

সমস্যা সমাধানে শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে শিক্ষামন্ত্রী আমাদের সহযোগিতা করছেন। তবে শিক্ষা ক্যাডারের পদ ও বেতন গ্রেডের যে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে সেটিও সামনে আসা দরকার। মাউশির মহাপরিচালক পর্যায়ের পদটি গ্রেড-১ এর পদ। কিন্তু এটা এমন একটি জায়গায় ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে যার কোনো সিঁড়ি নেই। সেই সিঁড়ি সৃষ্টির পেছনেও বিভিন্ন রকমের দাড়ি, কমা, সেমিকোলন, এসবের কোয়ারি।

শিক্ষা ক্যাডারের সমস্যা সমাধানে আলাদা কমিশন গঠন প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ২০১৬ সালে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি কমিটি গঠন করা হলেও পরবর্তীতে তার সুফল পাওয়া যায়নি৷ যদিও একশ দিনের মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ছিল। এখন আলাদা কমিশন গঠন করার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক নেহাল আহমেদের বক্তব্যের সূত্র ধরে পরে প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সমস্যার সমাধানে কাজ করার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরেই এ সমস্যার কথা শুনছি। সেটি অস্বীকার করার মতো নয়। প্রথম গ্রেডে যাওয়ার সিঁড়ি নেই, দ্বিতীয় গ্রেড নেই, তৃতীয় গ্রেডে অল্প কয়েকটি পদে রয়েছে।  আমরা অনেক বেশি চেয়েছিলাম কিন্তু অল্প কয়েকটি পদ দেওয়া হয়েছে। সেগুলো কার্যকর করতে অনেক অনেক বিলম্ব হচ্ছে। এরকম নানা সমস্যা আছে। সমস্যাগুলো দূর করার জন্য আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (কলেজ ও প্রশাসন) বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. কামাল হোসেন।

আরএইচটি/এসএসএইচ