চট্টগ্রামে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির আজ চতুর্থ দিন। আজ দেওয়া হচ্ছে ৩০ এপ্রিলের টিকিট। সকাল ৮টায় শুরু হয় টিকিট বিক্রি। কিন্তু দেখা গেছে, বেলা ১১টা বাজেই ঢাকাগামী সুবর্ণ ও সোনার বাংলা ছাড়া সব ট্রেনের টিকিট শেষ হয়ে গেছে। ফলে অনেক যাত্রী পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও টিকিট পাননি।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, অন্য দিনের তুলনায় আজ টিকিট প্রত্যাশী যাত্রীদের ভিড় বেশি ছিল।

তিনি জানান, সকাল ১০টার মধ্যে শেষ হয়ে গেছে ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস ও ঢাকাগামী তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট। এছাড়া সকাল ১১টার মধ্যে শেষ হয়ে গেছে ঢাকাগামী মহানগর এক্সপ্রেস, গোধূলি, চট্টলা, সিলেটগামী পাহাড়িকা ও উদয়ন, চাঁদপুরগামী স্পেশাল দুটিসহ সবগুলো ট্রেনের টিকিট। তবে ঢাকাগামী সোনার বাংলা ও সূবর্ণ ট্রেনের কিছু টিকিট সোয়া ১১টা পর্যন্ত ছিল।

তিনি আরও বলেন, আগামীকাল টিকিট প্রত্যাশীদের চাপ কম থাকতে পারে।

চট্টগ্রাম থেকে প্রতিদিন ১০টি আন্তঃনগর ট্রেন ছেড়ে যায় জানিয়ে স্টেশন ম্যানেজার বলেন এসব ট্রেনে মোট ৭ হাজার সিট রয়েছে। এগুলোর মধ্যে কাউন্টার থেকে বিক্রি করা হচ্ছে ৩ হাজার ৫০০ টিকিট। বাকি টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া চাঁদপুরগামী দুটি স্পেশাল ট্রেনের ১ হাজার ২৮টি আসনের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে আজ। যাত্রার দিন ঢাকামুখী ট্রেনগুলোতে অতিরিক্ত বগি যোগ করার চেষ্টা করা হবে।

তিনি বলেন, টিকিটের কার্যক্রম সিসিটিভির মাধ্যমে মনিটরিং করা হচ্ছে। এছাড়া স্টেশনে পুলিশ, আরএনবিসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন।

সিলেটের টিকিট কিনতে আসা শীলা আক্তার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভোর ৪টায় লাইনে দাঁড়িয়ে সকাল ১০টার দিকে টিকিট পেয়েছি। খুবই ভালো লাগছে। লাইনে দাঁড়ানোর কষ্ট চলে গেছে।

লিপি আক্তার যাবেন আখাউড়া। ৩০ তারিখের তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের জন্য এসেছেন। না পেয়ে পরে সাড়ে ১২টার মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কেটেছেন। তিনি বলেন, ৬ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরও প্রত্যাশিত ট্রেনের টিকিট পাইনি। পরে বাধ্য হয়ে অন্য ট্রেনের টিকিট কেটেছি।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরি করেন শিমুল সিদ্দিক। স্টেশনে এসেছিলেন ময়মনসিংহগামী বিজয় ট্রেনের টিকিট কাটতে। তিনি বলেন, পাঁচ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সকাল ১০টার আগেই মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয় টিকিট শেষ।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, স্টেশনের ১ নম্বর কাউন্টারে নারী, ওয়ারেন্ট ও রেলওয়ের পাস টিকিটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ২ নম্বর কাউন্টারে সুবর্ণ ও সোনার বাংলা এক্সপ্রেস (স্নিগ্ধা ও শোভন চেয়ার), ৩ নম্বর কাউন্টারে পাহাড়িকা ও উদয়ন, ৪ নম্বর কাউন্টারে মহানগর গোধূলি ও মহানগর এক্সপ্রেস, ৫ নম্বর কাউন্টারে তূর্ণা এক্সপ্রেস, ৬ নম্বর কাউন্টারে চট্টলা ও বিজয় এক্সপ্রেস (স্নিগ্ধা, শোভন চেয়ার ও শোভন), ৭ নম্বর কাউন্টারে মেঘনা এক্সপ্রেস, চাঁদপুর স্পেশাল ট্রেনের টিকিট বিক্রি হচ্ছে। বাকি কাউন্টারে অন্যান্য ট্রেনের টিকিট দেওয়া হচ্ছে।

কেএম/এমএইচএস