শনিবার পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশিকে আটক করে দেশটির পুলিশ/ ছবি : সংগৃহীত

লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলির পূর্ব উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশে পাড়ি দেওয়ার প্রস্তুতিকালে আটক পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশির মধ্যে ৪০০ জনের পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস। এর মধ্যে ২৪৪ জন দেশে ফিরতে রাজি হয়েছেন।

লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল এসএম শামীম উজ জামান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আমরা ইতোমধ্যে ৪০০ জনের ইন্টারভিউ নিয়েছি। তারা সবাই বাংলাদেশি। তাদের মধ্যে ২৪৪ জন স্বেচ্ছায় দেশে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বাকি ১৫৬ জন দেশে ফেরত যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেননি। যার কারণে তাদের নিবন্ধন করা যায়নি।

শামীম উজ জামান বলেন, আমরা যে সংখ্যাটা চিহ্নিত করেছি, এটা আরও বাড়তে পারে। যারা দেশে ফিরতে রাজি হয়েছে বা নিবন্ধন করেছেন তাদের পাঠানোর জন্য আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার সঙ্গে কাজ শুরু করেছি।

লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলির পূর্ব উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশে পাড়ি দেওয়ার প্রস্তুতিকালে শনিবার পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশিকে আটক করে দেশটির পুলিশ।

এদিকে মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, লিবিয়ায় আটক বাংলাদেশিরা দেশটির সেফ হোমে আছেন। তাদের দেশে প্রত্যাবর্তন করা হবে।

ভূমধ্যসাগর হয়ে বাংলাদেশিদের ইউরোপ যাত্রার সংখ্যাটা ঢাকার জন্য উদ্বেগের উল্লেখ করেন পররাষ্ট্র সচিব। আর এ সমস্যা সমাধানে সরকার আরও কঠোর অবস্থানে যাবে বলেও বার্তা দেন।

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ভূমধ্যসাগর উপকূল হয়ে ইউরোপ যাত্রার কনসার্স নম্বরটা কম‌ছে না। আমরা এটা নিয়ে সিরিয়াস অবস্থানে যাব। আমরা সিরিয়াসলি এওয়ারনেন্স ক্যাম্পেইনে যাব। যেসব জেলাগুলোর লোকজন বেশি যাচ্ছে, বিশেষ করে ফরিদপুর, মাদারীপুর ও শরিয়তপুর অঞ্চলের লোকদের বোঝানোর জন্য।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ট্রাফিকিংয়ের বিষয়টাতে আমরা গুরুত্ব দিতে চাই। যারা এসব কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত করার বিষয় আছে। অবৈধভাবে কেউ যাক, এটা আমরা চাই না। আমরা কখনই এটাকে প্রশ্রয় দেবো না। বৃহত্তর স্বার্থে আমরা এটাকে গুরুত্ব দিচ্ছি।

এনআই/এসকেডি