২-৩ মিনিটে গাড়ির পার্টস হাওয়া করে দেয় চক্রটি
রাজধানীর পল্টন ও ভাটারায় এলাকায় অভিযান চালিয়ে গাড়ির পার্টস চোর চক্রের মূলহোতাসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের লালবাগ বিভাগ। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন মো. এনামুল মোল্লা (৩৫), মো. এনামুল হক ওরফে এনাম (৪৭), মো. বকুল চৌধুরী (২৪), শরিফ আহম্মেদ ওরফে কালু (৪০), বিল্লাল হোসেন (২৮), মো. ইকবাল হোসেন ওরফে পলাশ (৩৪) ও মো. ইকবাল খান (৩২)।
বিজ্ঞাপন
তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন মডেলের প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও জিপ গাড়ির সাইড লুকিং মিরর-১২৪ পিস, সাইড মিররের কভার-১৯ পিস, লুকিং গ্লাসের কর্নার বিট-১০৭ পিস, হ্যারিয়ার জিপ গাড়ির গ্রিল লোগো ২ পিস, কমপ্লিট মিরর-১২ পিস, এক্সিও প্রাইভেটকারের দরজার বিট-৩০ পিস, কমপ্লিট সাইড মিরর ১৮ পিস, বাম্পার ক্যাপ-৬ জোড়া, পেছনের ডালার বিট-২৬ পিস চোরাই যন্ত্রাংশ জব্দ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
ডিবি জানিয়েছে, অগ্রিম অর্ডার নিয়ে দামি গাড়ির পার্টস চুরি করত চক্রটি। ডিমান্ড আছে, অথচ মার্কেটে নেই, এমন লক্ষ্য নিয়ে গাড়ির পার্টস চুরি করেন চক্রের সদস্যরা। দিনে লোকজন কম, আর রাতে অন্ধকার— এমন সব জায়গা থেকে সু-কৌশলে দুই থেকে তিন মিনিটে গাড়ির দামি পার্টস খুলে সরিয়ে নেয় চক্রটি। এদের সঙ্গে গাড়ির পার্টসের দোকানের সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে।
বুধবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (দক্ষিণ) পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, চক্রের মূলহোতা মো. এনামুল মোল্লা নিজে চুরি করেন না। তার অধীনে বেশ কয়েকজন চুরির সঙ্গে জড়িত। চুরির পর যন্ত্রাংশ রাজধানীর পল্টন স্কাউট মার্কেট, মহাখালী জেবা টাওয়ার, বারিধারা জে-বকুসহ একাধিক মার্কেটে চলে যায়। চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম।
গ্রেপ্তাররা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তাদের নামে আগেও চোরাই পার্টস কেনা-বেচার মামলা রয়েছে। তারা ৭-৮ বছর ধরে গাড়ির চোরাই যন্ত্রাংশ কেনা-বেচা কাজের সঙ্গে জড়িত। অনেক ক্ষেত্রে, তারা যে মালিকের পার্টস চুরি করে, দোকানদার সেই পার্টস আবারও উচ্চ দামে ওই মালিকের কাছেই বিক্রি করে। কারণ অনেক গাড়ির নতুন পার্টস মার্কেটে আলাদাভাবে আমদানি করা হয় না অথবা কিনতেও পাওয়া যায় না।
পার্টস বিক্রি হয়, এমন সাতটি দোকানের সন্ধান পাওয়া গেছে বলেও জানান যুগ্ম-কমিশনার মাহবুব আলম।
এমএসি/আরএইচ