ধানের তুষ দিয়ে তেল উৎপাদন হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উদ্যোগ নিলে ভোজ্যতেল দেশে উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

শনিবার (৭ মে) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বিকেল সাড়ে ৫টায় গণভবনে কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাপী যে মন্দা দেখা দিচ্ছে, তা ব্যাপকভাবে বাড়তে পারে। তার প্রভাব আমাদের ওপরে আসতে পারে। কাজেই আমাদের এ বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। 

এ সময় সংশ্লিষ্টদের দেশে ভোজ্যতেল উৎপাদনের দিকে দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।  

আরও পড়ুন : জিয়া নির্বাচনে প্রহসন ও ভোট কারচুপির কালচার শুরু করে

শেখ হাসিনা বলেন, জিনিসপত্রের দাম বাড়ার একটা প্রবণতা তৈরি হয়েছিল। আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রকৃতপক্ষে সেভাবে আমাদের এখানে দাম বাড়েনি। আর জিনিসপত্রের দাম সারা বিশ্বের বেড়েছে। বিভিন্ন দেশের হিসাব নিলে দেখা যাবে কোথাও কোথাও ১০ শতাংশ মূল্যস্ফীতি।

তিনি বলেন, ইউরোপের কোনো কোনো দেশে ১৭ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি রয়েছে। ভোজ্যতেল পাওয়া যাচ্ছে না। লন্ডনে রেশনিং করে দেওয়া হয়েছে। এক লিটারের বেশি কেউ তেল কিনতে পারবে না। প্রত্যেকটা জিনিস সুনির্দিষ্ট পরিমাণ নিতে হবে। এর বেশি নিতে পারবে না। সারা বিশ্বে এ অবস্থা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের পরে আমাদের শিপিংয়ের ভাড়া এত বেড়ে গেছে যে, যেসব দেশ থেকে আমরা পণ্য আমদানি করি, সেই আমদানির ওপর প্রভাব পড়ছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পরে তার প্রভাব ইউরোপ-আমেরিকার ওপর পড়েছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, পঁচাত্তর পরবর্তী আওয়ামী লীগই আমি দেখেছি। শত্রুরা কখনো ক্ষতি করতে পারে না, যদি ঘরের শত্রু বিভীষণ না হয়। আওয়ামী লীগের মধ্যে সব সময় এটি দেখা গেছে। আর এটি হচ্ছে সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয়। অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে এর মধ্যেও আমরা এগিয়ে গেছি। সংগঠনকে সুসংঘটিত করা এবং সেই সঙ্গে ক্ষমতায় গেলে দেশের জন্য আমরা কি করব- সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করে কাজ করেছি। আওয়ামী লীগ কোনো মিলিটারি ডিকটেটরের পকেট থেকে তৈরি করা সংগঠন নয়। 

এইউএ/এসএম