বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় অশনির বাংলাদেশে আঘাত হানার কোনো আশঙ্কা এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। এর প্রভাবে বাংলাদেশে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে, তবে কোনো ধরনের ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাস হবে না বলে জানান তিনি।

রোববার (৮ মে) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ৪ মে ভারতের আন্দামানে সৃষ্ট ঝড় অশনি ধীরে ধীরে লঘুচাপ, সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ এবং গভীর নিম্নচাপ— এই চারটি স্তর পেরিয়ে আজ ভোর ৬টায় ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়েছে। এর অবস্থান হলো অক্ষাংশ ১১.২ ডিগ্রি এবং দ্রাঘিমাংশ ৮৯.৪ ডিগ্রি।

ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর থেক ১ হাজার ১৭৫ কিলোমিটার ও কক্সবাজার থেকে ১ হাজার ২৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়টির গতি ঘণ্টায় ৫৫ কিলোমিটার।

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি উত্তরপশ্চিম দিকে ধাবিত হচ্ছে। এটি ১২ মে ভারতের উড়িষ্যা, বিশাখাপট্টম, ভুবনেশ্বর ও পশ্চিমবঙ্গ হয়ে দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে যাবে। বাংলাদেশে আঘাত হানার কোনো আশঙ্কা এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি।

১২ মে সকালে ভারতে আঘাত হেনে ঘূর্ণিঝড় থেকে নিম্নচাপে পরিণত হবে জানিয়ে এনামুর রহমান বলেন, এর প্রভাবে বাংলাদেশে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে, তবে কোন ধরনের ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাস হবে না। এটাই আমাদের কাছে সর্বশেষ তথ্য।

গতিপথ পরিবর্তন হলে বাংলাদেশের কোন অংশে আঘাত হানতে পারে— এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ সব সময় পরিবর্তন হয়। যেকোনো সময় যেকোনো দিকে টার্ন নিতে পারে। এটা উত্তরপশ্চিম দিকে ধাবিত হচ্ছে। যদি ঘূর্ণিঝড়টি টার্ন নিয়ে উত্তর দিকে ধাবিত হয় তাহলে এটা আমাদের দেশের সাতক্ষীরা, খুলনা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলায় আঘাত হানতে পারে।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়টির বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার একটি সভা হয়েছে। সভায় মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস, আবহাওয়া অফিস, সিপিপি— সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে উপকূলীয় অঞ্চলের জেলাগুলোর জেলা প্রশাসক ও জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে কথা বলে তাদের সতর্ক করা হয়েছে। সিপিপি ইতোমধ্যে মাঠে কাজ করছে। সাইক্লোন শেল্টারগুলোকে প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছি। সেখানে প্রস্তুতি প্রায় শেষ। রান্না করে খাওয়ানোর জন্য চাল ও অর্থ দিয়েছি। মোটামুটি আমাদের প্রস্তুতি আছে।

এসএইচআর/এসএসএইচ