ন্যূনতম ১০ শতাংশ শেয়ার ছাড়তে (অফলোড) আরও ২ বছর সময় চায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি বাজারে দশমিক ৯৭ শতাংশ শেয়ার ছেড়েছে। ফলে উদ্যোক্তাদের আরও ৯ দশমিক ০৩ শতাংশ শেয়ার ছাড়তে হবে।

উদ্যোক্তারাও শেয়ার বিক্রি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কোম্পানিটির পক্ষ থেকে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত পরিকল্পনা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) জমা দেওয়া হয়েছে। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

পরিকল্পানায় বলা হয়, কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকরা ২ দশমিক ৭৩ শতাংশ শেয়ার ছাড়বে। এছাড়া কিছু শেয়ার ট্রাস্টের নামে স্থানান্তর করা হবে। আরও কিছু উপহার হিসেবে দেওয়া হবে উদ্যোক্তাদের স্বজনদের।

এ শেয়ার ছাড়ার মাধ্যমে কোম্পানিটি বাজারে ফ্রি ফ্লোট শেয়ারের সংখ্যা ১০ শতাংশে উন্নীত করতে চায়।

বিএসইসি ওয়ালটনের জমা দেওয়া পরিকল্পনা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে বিএসইসি। বিষয়টি নিয়ে কমিশনের আগামী সভায় আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হতে পারে।

কোম্পানিটি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে ২০২০ সালে তালিকাভুক্ত হয় ওয়ালটন। তালিকাভুক্তির পরের বছরই ২০২১ সালে শেয়ারহোল্ডারদের ২০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। রোবরার কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১৭০ টাকায়।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে ওয়ালটনসহ তিনটি কোম্পানিকে এক বছরের মধ্যে বাজারে ফ্রি ফ্লোট শেয়ারের সংখ্যা বাড়িয়ে ন্যূনতম ১০ শতাংশে উন্নীত করার নির্দেশ দিয়েছিল বিএসইসি। বাজারে কোম্পানিগুলোর শেয়ারের তারল্য বাড়ানো এবং শেয়ারের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির রাশ টানতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্য দুটি কোম্পানি হচ্ছে-ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) ও বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ।

বিএসইসির নির্দেশের আলোকে ওয়ালটনের পক্ষ থেকে শেয়ার ছাড়ার আলোচিত পরিকল্পনাটি জমা দেওয়া হয় বিএসইসির কাছে। অবশ্য এটি পরিমার্জিত প্রস্তাব বা পরিকল্পনা। কোম্পানির পক্ষ থেকে এর আগেও একটি প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছিল। ওই প্রস্তাবে ৩ বছরের মধ্যে ৪ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ শেয়ার ছেড়ে ফ্রি ফ্লোট শেয়ারের সংখ্যা ৫ শতাংশে উন্নীত করার কথা বলা হয়েছিল।

এমআই/এসএম