ছাদবাগানে জমে থাকা পানি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের প্রতিবন্ধক
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, অপরিচর্যিত ছাদবাগান ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। তাই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমি ঢাকাবাসীর সহযোগিতা চাই।
বুধবার (১১ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত লালবাগ মিলব্যারাক সংলগ্ন ধোলাইখাল পাম্প স্টেশন ও জলাধার পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আপনারা দেখেছেন, থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। গত বছর একটানা চার মাস বৃষ্টি হয়েছে। এবারও যদি সে রকম হয় তাহলে আমাদের জন্য কাজ করা খুবই দুরূহ হবে। কারণ আমাদের বাসায়, স্থাপনায়, বাড়ির আনাচে-কানাচে, ছাদবাগানে বৃষ্টির পানি জমে থাকে। ছাদবাগানগুলো যেন সঠিকভাবে পরিচর্যিত থাকে। সেজন্য ঢাকাবাসীর সহযোগিতা চাই। তাদের ছাদবাগানগুলো যেন পরিচর্যিত থাকে। অপরিচর্যিত ছাদবাগানে পানি জমে থাকতে দেখি এবং সেখানে লার্ভা জন্মায়। কিন্তু ছাদবাগান যদি যথাযথভাবে পরিচর্যা করা হয় তাহলে সেখানে লার্ভা জন্মাতে পারে না।
এর আগে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস ওয়ারির ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে পরিচালিত এডিস নিয়ন্ত্রণে বিশেষ চিরুনি অভিযানের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মেয়র বলেন, বর্ষা মৌসুমে শুরু হলে আমাদের দুটি মূল কাজ অগ্রাধিকার পায়। একটি হলো মশক নিধন ও এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে রাখা, যাতে করে ঢাকাবাসী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত না হয়। দ্বিতীয়টি হলো জলাবদ্ধতা নিরসন, যাতে করে জলমগ্নতা না হয়। এই দুটি বিষয়কে বিবেচনা করেই আমরা এবার অগ্রিম কাজ শুরু করেছি। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই আপনারা জানেন যে বর্ষা মৌসুমের আগেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রাক মৌসুমের একটি জরিপ করা হয়েছে। সেখানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তিনটি ওয়ার্ডকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ এবং চারটি ওয়ার্ডকে মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আমরা এই সাতটি ওয়ার্ডকে নিয়েই কাজ আরম্ভ করেছি, যাতে করে কোথাও এই লার্ভা জমে না থাকতে পারে।
বিজ্ঞাপন
আগামী আষাঢ় মাস থেকে মূল অভিযান পরিচালনা করা হবে জানিয়ে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, এরইমধ্যে আমরা সরকারের কাছে ১০টি অঞ্চলের জন্য ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চেয়েছি যাতে করে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে পারি। এছাড়াও এ মাসের ১৬ তারিখে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে একটি মতবিনিময় সভা করতে যাচ্ছি। মতবিনিময়ের মাধ্যমে আমরা আরও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে চাই। আমরা আশা করছি, ঢাকাবাসী এ ব্যাপারে জাগ্রত হবে।
পরে মেয়র তিনটি বাড়ির ছাদবাগান ও ছাদ স্বশরীরে প্রত্যক্ষ করেন এবং পানি জমে আছে এমন স্থানে কীটনাশক প্রয়োগের নির্দেশ দেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক প্রমুখ।
এএসএস/এসএম