তেল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগে চট্টগ্রামের ছোটপোল এলাকার একটি দোকানকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ওই দোকানটি এক পুলিশ কর্মকর্তার ছেলের। জরিমানার পাশাপাশি দোকানের গোডাউনে থাকা ১ হাজার ১৫ লিটার ভোজ্যতেল ন্যায্যমূল্যে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ মে) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অধিদপ্তর এ অভিযান পরিচালনা করে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর ছোটপোল এলাকায় বিসমিল্লাহ স্টোরে অভিযান পরিচালনা করেছি। দোকানটিতে আগে কিনে রাখা ১ হাজার ১৫ লিটার তেলের সন্ধান পেয়েছি। এ তেলগুলো ঈদের আগে কিনে বেশি দামে বিক্রি করার জন্য মজুত করে রেখেছিলেন দোকান মালিক। তেলের দাম বাড়ার পর বোতলজাত তেল থেকে খুলে বেশি দামে বিক্রি করছিলেন। আমরা তাদের ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছি। দোকান ও গোডাউনকে সিলগালা করে দিয়েছি।

তিনি বলেন, অভিযানের সময় দেখেছি বোতলজাত পাঁচ লিটার তেলের গায়ে দাম লেখা আছে ৭৬০ টাকা। এসব বোতল খুলে খোলা সয়াবিন তেল হিসেবে প্রতি লিটার ১৮০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছিল। এতে ৫ লিটার তেলের দাম হয় ৯০০ টাকা।

দোকানের সাইনবোর্ডে দেওয়া নম্বরে ফোন দিলে নিজেকে ইয়াসিন আরাফাত নাইম পরিচয় দিয়ে বলেন, দোকানের মালিক তিনি। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার বাবা পুলিশ কর্মকর্তা। বাবা পুলিশ কর্মকর্তা হয়েছে বলে আমি কি দোকানের মালিক হতে পারব না? আমি মালিক, আমি মূল মালিক। আমার সঙ্গে কথা বলেন। আর আমার মায়ের নামে দোকানের কাগজপত্র। আমরা দুই ভাই মিলে ব্যবসা করি। এর সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তা বাবার কোনো সম্পর্ক নেই। বেশি দামে তেল বিক্রি করায় দোকান সিলগালা ও জরিমানা করার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইয়াসিন আরাফাতের বাবা চট্টগ্রাম জেলা পুলিশে উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদে কর্মরত আছেন।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিকার অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ বলেন, পরে চট্টগ্রাম নগরীর ঝাউতলা বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। বাজারটিতে মহিষের মাংসকে গরুর মাংস বলে বিক্রি করায় এক ব্যবসায়ীকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া মূল্য তালিকা না থাকায় তিনটি দোকানিকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

কেএম/এসএসএইচ