প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়া শুরু করেছে। সোমবার (১৬ মে) ভোর থেকে হালদা নদীর কয়েকটি স্থানে কার্প জাতীয় মাছে রুই, কাতলা, মৃগেল, কালবাউশ মাছের কিছু ডিম সংগ্রহ করেছেন জেলরা।

সোমবার সকালে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ শাহিদুল আলম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, হালদায় সীমিত আকারে মা মাছ ডিম ছেড়েছে। তবে পূর্ণাঙ্গ ডিম এখনও ছাড়েনি। এখন থেকে ১ ঘণ্টা পরে একটা জোয়ার হবে। তখন বিষয়টি স্পষ্ট হবে। তবে কী পরিমাণ নৌকা দিয়ে ডিম সংগ্রহকারীরা ডিম সংগ্রহ করেছেন তা এখনও জানা যায়নি।

আজ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মা মাছের ডিম ছাড়ার সংবাদ এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, জেলেরা সকালে কিছু ডিম সংগ্রহ করেছেন। আবার যখন জোয়ার আসবে। তখন ডিম ছড়ার সম্ভাবনা আছে।

হালদা রিসার্চ ল্যাবরেটরির সমন্বয়ক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, জোয়ার আসলে আবার জেলেরা নদীতে ডিম সংগ্রহ করতে নামবেন। সকালে জেলেরা কী পরিমাণ ডিম সংগ্রহ করেছেন তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।

ডিম সংগ্রহকারী, উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি বছর চৈত্র থেকে আষাঢ় মাসের মধ্যে অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে কার্প জাতীয় মা মাছ হালদা নদীতে ডিম ছাড়ে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিসার্চ অ্যান্ড ল্যাবরেটরির তথ্যানুসারে, হালদায় গতবার মাছের নিষিক্ত ডিম সংগ্রহের পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ৫০০ কেজি। রেণু পোনা হয়েছিল ১০৫ কেজি। এর আগে ২০২০ সালে নদীতে ডিম সংগ্রহের পরিমাণ ছিল সাড়ে ২৫ হাজার কেজি, যা এর আগের ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

কেএম/এমএইচএস