সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, এস ও এস চিলড্রেন্স ভিলেজ মানবতার সেবায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। পিতৃ-মাতৃহীন, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন, ছিন্নমূল, অনাথ শিশুদের কল্যাণে কাজ করে এ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানটি।

তিনি বলেন, ‘শিশু পল্লীর মা ও কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং পরম স্নেহ ও মাতৃ মমতায় বেড়ে উঠছে শিশুরা। শিশু পল্লীর পরিবেশ ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা আমাকে সত্যিই মুগ্ধ ও অভিভূত করেছে। এ ধরনের মানবতার সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে এস ও এস শিশু পল্লীর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রয়োজন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ও সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।’

আজ মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর শ্যামলীতে এস ও এস চিলড্রেন্স ভিলেজে এস ও এস চিলড্রেন্স ভিলেজেস বাংলাদেশের ফাউন্ডেশন ডে এবং ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৯ সালে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের কল্যাণে অস্ট্রিয়ার নাগরিক প্রফেসর হারম্যান মেইনার অস্ট্রিয়ার একটি শহরে প্রথম এস ও এস চিলড্রেন্স ভিলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে তিনি এস ও এস চিলড্রেন্স ভিলেজেস প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাদরে তার এ প্রস্তাব গ্রহণ করেন। ফলশ্রুতিতে, ১৯৭২ সালে ঢাকার শ্যামলীতে দেশের প্রথম এস ও এস চিলড্রেন্স ভিলেজ বা শিশু পল্লী প্রতিষ্ঠিত হয়।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত মমত্ববোধ থেকে এস ও এস শিশু পল্লীর শিশুদের নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন এবং বিভিন্ন জাতীয় দিবসে ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিশেষ খাবার ও উপহার সামগ্রী পাঠান- যা হতে পারে আমাদের সবার জন্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়।  

এনএফ