কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। এজন্য সিসি ক্যামেরা ভাড়া করতে দরপত্র আহ্বান করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

উপসচিব খোরশেদ আলম স্বাক্ষরিত দরপত্রটি ইসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

ইসি জানায়, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে ব্যবহারের জন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপনে দরপত্র আহ্বান করেছে ইসি। ভাড়ার ভিত্তিতে এই সিটির প্রতিটি ভোটকেন্দ্র ও ভোট কক্ষে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে। এতে ৮৫০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও মনিটরিং ব্যবস্থাপনার কথা বলা হয়েছে। 

সংশ্লিষ্টরা জানান, বুধবার থেকে দরপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে। দরপত্র বিক্রির শেষ সময় ৩০ মে। টেন্ডার জমা (ক্লোজিং) দেওয়ার শেষ সময় ৩১ মে বেলা ১১টা। একইদিন বেলা ১২টায় এটি খোলা (ওপেন) হবে। আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবন থেকে দরপত্র সংগ্রহ এবং একই দপ্তরে তা জমা দিতে হবে।

দরপত্রে বলা হয়েছে, খোলা টেন্ডার পদ্ধতিতে (ওটিএম) সিসিটিভি স্থাপনের খরচ সরকারি কোষাগার থেকে মেটানো হবে। দরপত্রের প্যাকেজে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সব কেন্দ্র ও ভোট কক্ষে ভাড়ার ভিত্তিতে সিসিটিভি ক্যামেরা ও মনিটরিং সেন্টার স্থাপনের কথা বলা হয়েছে। এতে ৮৫০টি সিসিটিভি ও মনিটরিং সেন্টার স্থাপনের কথা বলা হয়েছে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৭ মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৯ মে, আপিল ২০ থেকে ২২ মে, আপিল নিষ্পত্তি করা হবে ২৫ মের মধ্যে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৬ মে, প্রতীক বরাদ্দ ২৭ মে এবং ভোটগ্রহণ করা হবে ১৫ জুন।

কুসিকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। সিটির প্রতিটি কেন্দ্রের বাইরে একটি এবং প্রতি ভোটকক্ষে একটি করে সিসি ক্যামেরা থাকবে। তবে ভোট কক্ষের যেখানে ভোটাররা ভোট দেবেন, সেই অংশে সিসি ক্যামেরা থাকবে না। 

কুসিকের ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন ভোটার রয়েছেন। এদের মধ্যে ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন নারী ভোটার এবং ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন পুরুষ ভোটার  এবং দু'জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।

এসআর/জেডএস