জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার গাবতলী এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে মো. সোহান মিয়া (২৩) নামে এক যুবককে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গ্রেপ্তারের নাম মো. ইল্লাল সরদার (৩৫)।

সিআইডি জানায়, সোহানের এক আত্মীয়কে মারধর করেন ইল্লাল সরদার। ঘটনা শোনার পর সোহান এ বিষয়ে জানতে ইল্লাল সরদারের কাছে যান। ইল্লাল সরদার ওই বিষয়ে মুখ না খুললে ঘটনাটি বলার জন্য বার বার অনুরোধ করেন সোহান। এতে ইল্লাল সরদার রাগান্বিত হয়ে নিহত সোহান মিয়াকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারেন। এমনকি ধারালো চাকু দিয়ে সোহানের বুকে আঘাত করে হত্যা করেন।

মঙ্গলবার (১৭ মে) রাতে ডিএমপির খিলগাঁও থানার ত্রিমোহনী এলাকা থেকে ইল্লাল সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বুধবার (১৮ মে) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগের সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মুক্তা ধর।

তিনি বলেন, গত ১৫ মে জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ থানাধীন পৌরসভার গাবতলী এলাকায় এক যুবকের ছুরিকাঘাতে মো. সোহান মিয়ার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।

ইল্লালকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি বলেন, কিছুদিন আগে গাবতলী বাজার থেকে দেওয়ানগঞ্জ বাজারে যাওয়া নিয়ে ফকির আলী নামে এক অটোচালকের সঙ্গে তর্ক হলে ইল্লাল সরদার তাকে বেধড়ক মারধর করেন। ময়মনসিংহ শহরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের কার্যালয়ে মেকানিক্যাল পদে কর্মরত সোহান মিয়া ওই অটোচালকের আত্মীয়।

ঘটনার দিন ১৫ মে বিকেলে সোহান মিয়া তার সঙ্গে অটোচালক ফকির আলী ও স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তিকে নিয়ে বিষয়টি সমাধানের উদ্দেশে যান। ইল্লাল সরদার এ বিষয়ে মুখ না খুললে তারা ঘটনাটি বলার জন্য বার বার অনুরোধ করেন।

এক পর্যায়ে ইল্লাল সরদার রাগান্বিত হয়ে নিহত সোহান মিয়াকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। তার সঙ্গে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে সোহানের বুকে আঘাতও করেন। রক্তাক্ত হয়ে আহত সোহান মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আসামি ইল্লাল সরদার দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় ভিকটিম সোহান মিয়াকে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মুক্তা ধর আরও বলেন, গ্রেপ্তার ইল্লাল সরদারের বিরুদ্ধে খুন, চুরি, নারী নির্যাতন, মাদকদ্রব্য ও অন্যান্য ধারার আইনে মোট ৯টি মামলা রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে একটি মামলার তদন্ত চলছে। বাকি আটটি মামলা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে বলেও তথ্য পাওয়া গেছে।

এমএসি/এমএইচএস