প্রখ্যাত সাংবাদিক ও লেখক আব্দুল গাফফার চৌধুরীর ছোট মেয়ে বিনীতা চৌধুরী (৪৯) মারা গেছেন গত ১৩ এপ্রিল। মেয়ের মৃত্যুর ৩৫ দিন পর বাবা আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীও চলে গেলেন না ফেরা দেশে। যুক্তরাজ্যে বিশিষ্ট এ কলামিস্টের সঙ্গে থাকতেন মেয়ে।

জানা যায়, গাফফার চৌধুরীর চার মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে বিনীতা ছিলেন সবার ছোট। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বিনীতা চৌধুরী যখন মারা যায় তখন গাফফার চৌধুরী লন্ডনের একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। হাসপাতালে থেকেই মেয়ের মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছেন তিনি। করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন প্রবীণ এ লেখক। এছাড়া কিডনিজনিত রোগে ভুগছিলেন।

আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর জন্ম ১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বরে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া গ্রামে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি যুক্তরাজ্যের লন্ডনের মিডলসেক্সের এজোয়ারের মেথুইন রোডের ৫৬ নম্বর বাড়িতে স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন।

ছাত্রজীবনেই লেখালেখিতে হাতেখড়ি তার। ১৯৪৯ সালে মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন সম্পাদিত মাসিক সওগাত পত্রিকায় তার গল্প প্রকাশিত হয়। ১৯৫২ সালে সাময়িকপত্রে প্রকাশিত হয় প্রথম উপন্যাস ‘চন্দ্রদ্বীপের উপাখ্যান’। আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর সাংবাদিকতায় হাতেখড়িও ছাত্রজীবনে। ঢাকা কলেজের ছাত্র থাকাকালে যোগ দেন দৈনিক ইনসাফ পত্রিকায়। ১৯৫১ সালে যোগ দেন খায়রুল কবীর সম্পাদিত দৈনিক সংবাদের বার্তা বিভাগে। ১৯৫৬ সালে যোগ দেন তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া সম্পাদিত দৈনিক ইত্তেফাকে।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী কলমযোদ্ধার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। জয় বাংলা পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে মডারেটরের ভূমিকাও পালন করেন। স্বাধীনতার পর ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক জনপদের প্রধান সম্পাদক ছিলেন আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী।

এসএম