ঢাকার বিভিন্ন স্থানে জাল স্ট্যাম্প প্রস্তুত ও বিক্রির অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্তরা হলেন, কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন এলাকার বাসিন্দা মো. মনির হোসেন ওরফে ইমরান (৪০), দেলোয়ার ওরফে আইকে দেলোয়ার (৩৫) ও কুমিল্লার পাখির আলী (৩১)।

সিআইডি বলছে,  অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে পরস্পর যোগসাজশে হাইকোর্টে জাল স্ট্যাম্প সরবরাহ করত। কয়েক বছরে তারা এ ধরনের জাল স্ট্যাম্প সরবরাহ করে মোটা অংকের রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে।

সিআইডি ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জিসানুল হক জানান, একটি চক্র হাইকোর্ট ডিভিশনসহ বিভিন্ন স্থানে জাল স্ট্যাম্প বিক্রি করে আসছিল এমন তথ্য পায় ঢাকা মেট্রো (দক্ষিণ) সিআইডি। সত্যের সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মেট্রো (দক্ষিণ) সিআইডির একটি দল হাইকোর্টের প্রশাসনিক ভবনের চতুর্থ তলায় অবস্থিত স্ট্যাম্প ভেন্ডারের দোকান এবং সড়ক ভবনের সামনে অবস্থিত দোকানে একযোগে সাঁড়াশি অভিযান চালায়।

অভিযানকালে একটি দোকানে ১৩১৩টি জাল স্ট্যাম্পসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জব্দ করা জাল স্ট্যাম্পের মধ্যে রয়েছে ৬৮৩টি ২০ টাকা মূল্যের বাংলাদেশ কোর্ট ফি, ৪৪৫টি ১০ টাকার বাংলাদেশ কোর্ট ফি, ১৮৫টি ৫ টাকার বাংলাদেশ কোর্ট ফি স্ট্যাম্পসহ মোট ১৯ হাজার ৩৫ টাকা স্ট্যাম্প।

জিসানুল হক বলেন, পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে হাইকোর্টে জাল স্ট্যাম্প সরবরাহ করে আসছিলেন তারা। গত কয়েক বছর যাবত তারা এ ধরনের জাল স্ট্যাম্প ব্যবসায় জড়িত মর্মে সিআইডির প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে। তাদের এই জাল-জালিয়াতির কারণে মোটা অংকের রাজস্ব হারিয়েছে সরকার। এ চক্রে জড়িত অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সিআইডি বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং ২০।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি ঢাকা মেট্রোর (দক্ষিণ) ইন্সপেক্টর মো. সাজ্জাদ জানান, হাইকোর্টের চত্বরে প্রশাসনিক ভবনের পাশে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ক্যান্টিন রয়েছে। তার পাশেই অবস্থিত ভবনেই স্ট্যাম্প ভেন্ডারের দোকান। এরই একটি দোকানে বসে তারা এ জাল স্ট্যাম্প বিক্রির মতো জালিয়াতির কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। এই চক্রের সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন জড়িত বলে আমরা জানতে পেরেছি। শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত সাত দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

জেইউ/এসকেডি