সামাজিক ও বাজার গবেষণার পাশাপাশি তরুণ গবেষক তৈরির লক্ষে ডাটাস্ক্যাপ সোশ্যাল ইনোভেশন ল্যাবের উদ্বোধন করা হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে এ ল্যাবের উদ্বোধন করা হয়। ডাটাস্ক্যাপ বিগত সাত বছর ধরে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশে গবেষণা ক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছে। ডাটাস্ক্যাপ সামাজিক ও বাজার গবেষণার পাশাপাশি তরুণ গবেষক তৈরির লক্ষে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক ড. হামিদুল হক (ডিরেক্টর, ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ অ্যান্ড সাসটেইনেবেলিটি, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োক্যামিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. আতিয়ার রহমান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকোনমিক্স ডিসিপ্লিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মেহেদী হাসান খান।

ডাটাস্ক্যাপ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট ম্যানেজার মো. জামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. রাকিব হোসেনের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। 

তিনি বলেন, সোশ্যাল ইনোভেশনের নতুন সমাধানের নকশা এবং বাস্তবায়নকে বোঝায় ধারণাগত, প্রক্রিয়া, পণ্য বা সাংগঠনিক পরিবর্তনকে। যা শেষ পর্যন্ত ব্যক্তি এবং সম্প্রদায়ের কল্যাণ এবং মঙ্গলকে উন্নত করার লক্ষ্য রাখে। পৃথিবীব্যাপী যত সোশ্যাল ইনোভেশন ল্যাব কাজ করছে, তারা প্রত্যেকেই একই প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে। তা হলো ‘সামাজিক উদ্ভাবন কি ল্যাবে বসে করা সম্ভব?’ এর উত্তরটা খুবই সহজ তা হলো না। সামাজিক উদ্ভাবন রসায়নের কোন এক্সপেরিমেন্ট নয় যে ল্যাবে বসে টেস্টটিউবে নাড়াচাড়া করলেই হয়ে যাবে। তবে উদ্ভাবনের পেছনে যে তিনটি মূল বিষয় কাজ করে- আগ্রহ, অনুপ্রেরণা এবং ফলিত জ্ঞানের নিয়মিত চর্চা এবং গঠনমূলক প্রয়োগ কেবল তখনই সম্ভব, যখন এর সঠিক প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করা যাবে। উপরের বিষয়গুলো বিবেচনা করে ‘ডাটাস্ক্যাপ সোশ্যাল ইনোভেশন ল্যাব’ এর যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে। 
 
প্রফেসর ড. হামিদুল হক বলেন, আমাদের আগ্রহ অনেক বিষয়েই থাকতে পারে, সেই আগ্রহ থেকে বিষয়টি নিয়ে কিছু করার অনুপ্রেরণা তৈরি হয় যখন আমরা আমাদের মধ্যে সেই সম্ভাবনা বা প্রতিভাটি খুব ছোট করে হলেও দেখতে পাই। ফলিত জ্ঞান আমাদের জানায় যে সেই একই ধরনের সমস্যা সমাধানে অন্যরা কি পদক্ষেপ নিয়েছে, কোনটা সফল হয়েছে, কেন হয়েছে, যেটা হয়নি কেন হয় নি, ইত্যাদি ইত্যাদি।

প্রফেসর ড. মেহেদী হসেনে খাঁন বলেন, উদ্ভাবন কেবল সমাজের খুব বড় বড় আলোচিত সমস্যা সমাধান করবে এমন নয়, আবার খুব বৈপ্লবিক কোন সমাধান না হলে তাকে সামাজিক উদ্ভাবনের কাতারেও ফেলা যাবে না এমনটিও নয়। সফল, সংগঠিত এবং নিয়মানুগ উদ্ভাবন শুরু হয় সমস্যা সমাধানের সহজ উপায় অনুসন্ধানের মধ্য দিয়ে।

প্রফেসর ড.আতিয়ার রহমান বলেন, যে কোন সামাজিক সমস্যা নিয়ে কারও আগ্রহ থেকে থাকলে, সেই আগ্রহকে পুঁজি করে কিছু প্রভাবকের ব্যবস্থা করেই উদ্ভাবনী চর্চার একটা সংস্কৃতি তৈরি করা যায়। এই সংস্কৃতিই বিচ্ছিন্ন উদ্ভাবন থেকে উদ্ভাবনী বিপ্লবের জন্ম দেয়, যার জলজ্যান্ত উদাহরণ হিসেবে বিশ্ব দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গুগল, ফেসবুক, অ্যাপেলের মত সংগঠনগুলো। 

ডাটাস্ক্যাপের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার মুহাম্মদ জামাল উদ্দিনকে সোশ্যাল ইনোভেশন ল্যাবের কো-অরডিনেটর হিসেবে মনোনীত করেন।

এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রফেসর সিদ্দিক হায়াত খান, প্রফেসর মাহবুবুর রহমান টিপু, মৌসুমী বাসু, ইন্ডিপেনডেন্ট রিসার্চার ইন্ডিয়া, ডাটাস্ক্যাপের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর নুর নবী সোহেল, ডাটাস্ক্যাপের আর এন্ড ডি এক্সিকিউটিভ মো. ফরহাদ হোসেন সুমন, শাহরিয়ার আহম্মেদ।

আইএসএইচ