উৎসব ও আনন্দমুখর পরিবেশে ভিয়েনার বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশন দূতাবাস বাংলা নববর্ষ-১৪২৯ ও ঈদ পুনর্মিলনী উদযাপন করেছে। রোববার (২২ মে) স্থায়ী মিশন দূতাবাস প্রাঙ্গণে নববর্ষ ও ঈদ পুনর্মিলনী উদযাপন করা হয়।

স্থায়ী মিশন জানায়, রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিতের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, স্লোভেনিয়া ও স্লোভাকিয়ায় বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতারা, পেশাজীবী, ছাত্র ও সাংবাদিকসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রদূত মুহিত ও তার সহধর্মিণী রুবী পারভীন শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, বর্ষবরণ বাঙালির সর্বজনীন উৎসব। বিভিন্ন ধর্মে-বর্ণে বিভক্ত হলেও ঐতিহ্য ও কৃষ্টির জায়গায় সব বাঙালি এক এবং অভিন্ন। সারা বছরের ক্লেদ-গ্লানি, হতাশা ভুলে এদিন সব বাঙালি নতুন আনন্দ-উদ্দীপনায় মেতে উঠেন।

অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে সবার জন্য নতুন বছর কল্যাণকর হবে বলে রাষ্ট্রদূত আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ও পারস্পরিক সৌহার্দ্য আর ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পিঠা উৎসব ও মেহেদি উৎসব। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী গান ‘এসো হে বৈশাখ’ গানটির সম্মিলিত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য।

প্রবাসীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পিঠা-পুলির পসরা সাজিয়ে এতে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে দূতাবাসের আয়োজনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ইলিশ মাছ সহ বিভিন্ন স্বদেশি খাবার পরিবেশন করা হয়।

এনআই/এমএইচএস